১. বাগেরহাট জেলাঃ
সুন্দরবনে বাঘের বাস দাড়টানা ভৈরব পাশ সবুজ শ্যামলে ভরা নদী বাঁকে বসতো যে হাট তার নাম বাগের হাট। এক সময় বাগেরহাটের নাম ছিল খলিফাতাবাদ বা প্রতিনিধির শহর। খানজাহান আলী (রঃ) গৌড়ের সুলতানদের প্রতিনিধি হিসেবে এ অঞ্চল শাসন করতেন। কেউ কেউ মনে করেন, বরিশালের শাসক আঘা বাকের এর নামানুসারে বাগেরহাট হয়েছে। কেউবা বলেন, পাঠান জায়গীদার বাকির খাঁ এর নামানুসারে বাগেরহাট হয়েছে। আবার কারো মতে, বাঘ শব্দ হতে বাগেরহাট নাম হয়েছে। জনশ্রুতি আছে খানজাহান আলী (রঃ) এর একটি বাগ(বাগান, ফার্সী শব্দ) বা বাগিচা ছিল। এ বাগ শব্দ হতে বাগেরহাট। কাো মতে, নদীর বাঁকে হাট বসতো বিধায় বাঁকেরহাট। বাঁকেরহাট হহতে বাগেরহাট।
প্রতিষ্ঠিত সাল:
১৯৮৪ সালে।
আয়তন :
৩৯৫৯.১১ বর্গ কিঃ মিঃ
উপজেলাসমূহ:
- কচুয়া উপজেলা
- চিতলমারী উপজেলা
- ফকিরহাট উপজেলা
- বাগেরহাট সদর উপজেলা
- মোংলা উপজেলা
- মোড়েলগঞ্জ উপজেলা
- মোল্লাহাট উপজেলা
- রামপাল উপজেলা
- শরণখোলা উপজেলা
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ
- ষাট গম্বুজ মসজিদ
- খান জাহান আলী-এর মাজার
- সুন্দরবন
- মংলা বন্দর
- রেজা খোদা মসজিদ
- জিন্দা পীর মসজিদ
- ঠান্ডা পীর মসজিদ
- সিংগাইর মসজিদ
- বিবি বেগুনি মসজিদ
- চুনাখোলা মসজিদ
- নয় গম্বুজ মসজিদ
- কোদলা মঠ
- রণবিজয়পুর মসজিদ
- দশ গম্বুজ মসজিদ
- সুন্দরবন রিসোর্ট, বারাকপুর
- চন্দ্রমহল, রনজিতপুর।
- খান জাহান আলী বেসামরিক বিমান বন্দর।
বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ
- ষাট গম্বুজ মসজিদ
- খান জাহান আলী-এর মাজার
- সুন্দরবন
- সুন্দরবন রিসোর্ট, বারাকপুর
- খান জাহান আলী বেসামরিক বিমান বন্দর।
আধুনিক স্থাপত্যঃ
- খান জাহান আলী বেসামরিক বিমান বন্দর।
- ষাট গম্বুজ মসজিদ
ওয়েবসাইট:
http://www.bagerhat.gov.bd/
২. চুয়াডাঙ্গা জেলাঃ
চুয়াডাঙ্গার নামকরণ সম্পর্কে কথিত আছে যে, এখানকার মল্লিক বংশের আদিপুরুষ চুঙ্গো মল্লিকের নামে এ জায়গার নাম চুয়াডাঙ্গা হয়েছে। ১৭৪০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে চুঙ্গো মল্লিক তাঁর স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে ভারতের নদীয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলার সীমানার ইটেবাড়ি- মহারাজপুর গ্রাম থেকে মাথাভাঙ্গা নদীপথে এখানে এস প্রথম বসতি গড়েন। ১৭৯৭ সালের এক রেকর্ডে এ জায়গার নাম চুঙ্গোডাঙ্গা উল্লেখ রয়েছে। ফারসি থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করার সময় উচ্চারণের বিকৃতির কারণে বর্তমান চুয়াডাঙ্গা নামটা এসেছে। চুয়াডাঙ্গা নামকরণের আরো দুটি সম্ভাব্য কারণ প্রচলিত আছে। চুয়া < চয়া চুয়াডাঙ্গা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠিত সাল:
১৯৮৪ সালে।
আয়তন :
১১৭৪.১০ বর্গ কিঃ মিঃ
উপজেলাসমূহ:
- আলমডাঙ্গা উপজেলা
- চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা
- জীবননগর উপজেলা
- দামুড়হুদা উপজেলা
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ
- পুলিশ পার্ক – পুলিশ সুপার-এর কার্যালয় সংলগ্ন.
- দত্তনগর কৃষি খামার, জীবননগর.
- শিশু স্বর্গ – ফেরি ঘাট রোড.
- নাটুদহের আট কবর – মুক্তিযুদ্ধে শহীদ আটজন বীর মুক্তিযোদ্ধার কবর.
- কেরু এন্ড কোম্পানি এন্ড ডিস্টিলারি – দর্শনা.
- তিন গম্বুজবিশিষ্ট চুয়াডাঙ্গা বড় মসজিদ.
- ঘোলদাড়ি জামে মসজিদ (১০০৬ খ্রিস্টাব্দ) – আলমডাঙ্গা উপজেলার ঘোলদাড়ি গ্রামে.
- তিয়রবিলা বাদশাহী মসজিদ – আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের তিয়রবিলা গ্রাম.
- ঠাকুরপুর মসজিদ.
- শিবনগর মসজিদ.
- জামজামি মসজিদ.
- আট কবর- দামুড়হুদা.
- হাজারদুয়ারি স্কুল – দামুড়হুদা.
- নীলকুঠি – কার্পাসডাঙ্গা ও ঘোলদাড়ি.
- আলমডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন – ব্রিটিশ আমলে নীলকুঠি হিসেবে ব্যবহৃত হত.
- খাজা মালিক উল গাউস -এর মাজার – তিতুদহ ইউনিয়নের গড়াইটুপি গ্রাম ।
- রাখাল শাহ এর মাজার।
- কাশিপুর শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতি বিজড়িত জমিদার বাড়ি।
বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ
- শিশু স্বর্গ – ফেরি ঘাট রোড.
- নীলকুঠি – কার্পাসডাঙ্গা ও ঘোলদাড়ি.
- কাশিপুর শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতি বিজড়িত জমিদার বাড়ি।
- রাখাল শাহ এর মাজার।
- পুলিশ পার্ক
- নীলকুঠি – কার্পাসডাঙ্গা ও ঘোলদাড়ি.
আধুনিক স্থাপত্যঃ
পরে জানানো হবে
ওয়েবসাইট:
http://www.chuadanga.gov.bd/
৩. যশোর জেলাঃ
১৭৮১ সালে যশোর একটি পৃথক জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং এটিই হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম জেলা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রথম স্বাধীন হওয়া জেলাটি যশোর। যশোর, সমতটের একটা প্রাচীন জনপদ। নামটি অতি পুরানো। যশোর নামের উৎপত্তি সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত পাওয়া যায়। যশোর (জেসিনরে) আরবি শব্দ যার অর্থ সাকো। অনুমান করা হয় কসবা নামটি পীর খানজাহান আলীর দেওয়া (১৩৯৮ খৃঃ)। এককালে যশোরের সর্বত্র নদী নালায় পরিপূর্ণ ছিল। পূর্বে নদী বা খালের উপর সাকো নির্মিত হতো। খানজাহান আলী বাঁশের সাকো নির্মাণ করে ভৈরব নদী পার হয়ে মুড়লীতে আগমন করেন বলে জানা যায়। এই বাঁশের সাকো থেকে যশোর নামের উৎপত্তি। তবে এই মতে সমর্থকদের সংখ্যা খুবই কম। ইরান ও আরব সীমান্তে একটি স্থানের নাম যশোর যার সাথে এই যশোরের কোন সম্পর্ক স্থাপন করা যায় না। খানজাহান আলীর পূর্ব থেকেই এই যশোর নাম ছিল। অনেকে অভিমত ব্যক্ত করেন যে, প্রতাপদিত্যের পতনের পর চাঁচড়ার রাজাদের যশোরের রাজা বলা হত। কেননা তারা যশোর রাজ প্রতাপাদিত্যের সম্পত্তির একাংশ পুরস্কার স্বরূপ অর্জন করেছিলেন। এই মতও সঠিক বলে মনে হয়। জে, ওয়েস্টল্যাণ্ড তাঁর যশোর প্রতিবেদনের ১৯৩ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন, রাজা প্রতাপাদিত্য রায়ের আগে জেলা সদর কসবা মৌজার অর্ন্তভুক্ত ছিল। বনগাঁ-যশোর পিচের রাস্তা ১৮৬৬-১৮৬৮ কালপর্বে তৈরী হয়। যশোর-খুলনা ইতিহাসের ৭৬ পাতায় লেখা আছে “প্রতাপাদিত্যের আগে লিখিত কোন পুস্তকে যশোর লেখা নাই”। সময়ের বিবর্তনে নামের পরিবর্তন স্বাভাবিক।
প্রতিষ্ঠিত সাল:
১৭৮১ সালে।
আয়তন :
২৬০৬.৯৪ বর্গ কিঃ মিঃ
উপজেলাসমূহ:
- অভয়নগর উপজেলা
- কেশবপুর উপজেলা
- চৌগাছা উপজেলা
- ঝিকরগাছা উপজেলা
- বাঘারপাড়া উপজেলা
- মনিরামপুর উপজেলা
- যশোর সদর উপজেলা
- শার্শা উপজেলা
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ
- চাঁচড়া শিব মন্দির।
- যশোর ইনস্টিটিউট
- যশোর ইনস্টিটিউট পাবলিক লাইব্রেরী
- ফুলের হাট গদখালি
- সাগরদাড়ী, বাংলা পদ্যর জনক মাইকেল মধুসূদন দত্ত এর বাড়ি
- তাপস কুটির (কাস্টমস অফিস)
- যশোর বিমানবন্দর ও যশোর সেনানিবাস
- শ্রীধরপুর জমিদার বাড়ি
- বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের সমাধি
- মনিহার সিনেমা হল
- কালেক্টরেট পার্ক
- লালদীঘির পাড়
- বিনোদিয়া পার্ক
- যশোর বোট ক্লাব
- ভরত রাজার দেউল ( ভরত ভায়না )
- জেস গার্ডেন পার্ক
- যশোর আইটি পার্ক
বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ
- যশোর ইনস্টিটিউট পাবলিক লাইব্রেরী
- সাগরদাড়ী, বাংলা পদ্যর জনক মাইকেল মধুসূদন দত্ত এর বাড়ি
- চাঁচড়া শিব মন্দির।
আধুনিক স্থাপত্যঃ
- তাপস কুটির (কাস্টমস অফিস)
- যশোর আইটি পার্ক
- শ্রীধরপুর জমিদার বাড়ি
- যশোর বিমানবন্দর ও যশোর সেনানিবাস
ওয়েবসাইট:
http://www.jessore.gov.bd/
৪. ঝিনাইদহ জেলাঃ
প্রাচীনকালে বর্তমান ঝিনাইদহের উত্তর-পশ্চিম দিকে নবগঙ্গা নদীর ধারে ঝিনুক কুড়ানো শ্রমিকের বসতি গড়ে ওঠে বলে জানা যায। কলকাতা থেকে ব্যবসায়ীরা ঝিনুকের মুক্তা সঙগ্রহরের জন্য এখানে ঝিনুক কিনতে আসতো। সে সময় ঝিনুক প্রাপ্তির স্থানটিকে ঝিনুকদহ বলা হত। অনেকের মতে ঝিনুককে আঞ্চলিক ভাষায় ঝিনেই বা ঝিনাই বলে। দহ অর্থ বড় জলাশয়, দহ ফার্সী শব্দ যার অর্ত গ্রাম। সেই অর্থে ঝিনুক দহ বলতে ঝিনুকের জলাশয় অথবা ঝিনুকের গ্রাম। ঝিনুক এবং দহ থেকেই ঝিনুকদহ বা ঝিনেইদহ যা রূপান্তরিত হয়ে আজকের এই ঝিনাইদহ।
প্রতিষ্ঠিত সাল:
১৮৬২ সালে।
আয়তন :
১৯৬৪.৭৭ বর্গ কিঃ মিঃ
উপজেলাসমূহ:
- কালীগঞ্জ উপজেলা
- কোটচাঁদপুর উপজেলা
- ঝিনাইদহ সদর উপজেলা
- মহেশপুর উপজেলা
- শৈলকুপা উপজেলা
- হরিণাকুন্ডু উপজেলা
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ
- নলডাঙ্গা রাজবাড়ি
- সাতগাছিয়া মসজিদ
- বারবাজারের প্রাচীন মসজিদ
- গাজীকালু চম্পাবতীর মাজার
- শৈলকূপা জমিদার বাড়ি
- খালিশপুর নীলকুঠি
- গলাকাটা মসজিদ
- জোড় বাংলা মসজিদ
- পায়রা দূয়াহ্
- শাহী মসজিদ
- শিব মন্দির
- ঢোল সমুদ্রের দীঘি
- মিয়া বাড়ির দালান
- পাঞ্জু শাহ’র মাজার
- কে,পি, বসুর বাড়ী
- সুইতলা মল্লিকপুর
- বলুদেওয়ানের মাজার
- দত্ত নগরখামাার
বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ
- খালিশপুর নীলকুঠি
- নলডাঙ্গা রাজবাড়ি
- গাজীকালু চম্পাবতীর মাজার
- শিব মন্দির
- মিয়া বাড়ির দালান
- সুইতলা মল্লিকপুর
আধুনিক স্থাপত্যঃ
পরে জানানো হবে
ওয়েবসাইট:
http://www.jhenaidah.gov.bd/
৫. খুলনা জেলাঃ
হযরত পীর খানজাহান আলীর (র.) স্মৃতি বিজড়িত ও ভৈরব-রূপসা বিধৌত পৌর শহর খুলনার ইতিহাস নানাভাবে ঐতিহ্য মন্ডিত। খুলনা নামকরণের উৎপত্তি সম্বন্ধে নানান মত রয়েছে। সবচেয়ে বেশি আলোচিত মতগুলো হলো : মৌজা ‘কিসমত খুলনা’ খুলনা খুলনা; ধনপতি সাওদাগরের দ্বিতীয় স্ত্রী খুল্লনার নামে নির্মিত ‘খুল্লনেশ্বরী কালী মন্দির’ থেকে খুলনা; ১৭৬৬ সালে ‘ফলমাউথ’ জাহাজের নাবিকদের উদ্ধারকৃত রেকর্ডে লিখিত Culnea শব্দ থেকে খুলনা। ইংরেজ আমলের মানচিত্রে লিখিত Jessore-Culna শব্দ থেকে খুলনা,- কোনটি সত্য তা গবেষকরা নির্ধারণ করবেন।
প্রতিষ্ঠিত সাল:
১৯৮৪ সালে।
আয়তন :
৪৩৯৪.৪৫ বর্গ কিঃ মিঃ
উপজেলাসমূহ:
- কয়রা উপজেলা
- ডুমুরিয়া উপজেলা
- তেরখাদা উপজেলা
- দাকোপ উপজেলা
- দিঘলিয়া উপজেলা
- পাইকগাছা উপজেলা
- ফুলতলা উপজেলা
- বটিয়াঘাটা উপজেলা
- রূপসা উপজেলা
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ
- নভূমি সুন্দরবন, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা
- বিশ্বকবি রবিন্দ্রনাথের শ্বশুরবাড়ি
- জাতিসংঘ শিশুপার্ক
- খান জাহান আলি (র) মাজার, বাগেরহাট
- জাদুঘর
- ধর্ম সভা আর্য মন্দির
- বনবিলাস চিড়িয়াখানা
বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ
- বনভূমি সুন্দরবন, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা
- ষাট গম্বুজ মসজিদ, বাগেরহাট
- খান জাহান আলি (র) মাজার, বাগেরহাট
- খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর, খুলনা
- বনবিলাস চিড়িয়াখানা, খুলনা
- রূপসা নদী
- বিশ্বকবি রবিন্দ্রনাথের শ্বশুরবাড়ি, দক্ষিণ ডিহি, ফুলতলা, খুলনা
- আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় এর জন্ম স্থান, পাইকগাছা থানা, খুলনা
- রূপসা সেতু, খুলনা
- ধর্ম সভা আর্য মন্দির, খুলনা
- শহীদ হাদিস পার্ক ভাষাস্মৃতি শহীদ মিনার, খুলনা
- গল্লামারি বধ্যভূমি শহীদস্মৃতি সৌধ, খুলনা
- জাতিসংঘ শিশুপার্ক, শান্তিধাম মোড়, খুলনা
আধুনিক স্থাপত্যঃ
পরে জানানো হবে
ওয়েবসাইট:
http://www.khulna.gov.bd/
৬. কুষ্টিয়া জেলাঃ
কুষ্টিয়া জেলার নামকরণ নিয়ে নানা কাহিনী প্রচলিত আছে, কুষ্টিয়ায় এক সময় কোস্টার (পাট) চাষ হতো বলে কোস্ট শব্দ থেকে কুষ্টিয়ার উৎপত্তি। হেমিলটনের গেজেটিয়ারে উল্লেখ্য করেন যে, স্থানীয় জনগণ একে কুষ্টি বলে ডাকত। কুষ্টি থেকে কুষ্টিয়া নামকরণ হয়েছে। ১৯৮৪ সালে ৬ টি থানা নিয়ে কুষ্টিয়া জেলা গঠিত হয়।
প্রতিষ্ঠিত সাল:
১৯৪৭ সালে।
আয়তন :
১৬২১.১৫ বর্গ কিঃ মিঃ
উপজেলাসমূহ:
- কুমারখালী উপজেলা
- কুষ্টিয়া সদর উপজেলা
- খোকসা উপজেলা
- দৌলতপুর উপজেলা
- ভেড়ামারা উপজেলা
- মিরপুর উপজেলা
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ
- রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ী –
- বাউল ফকির লালন সাঁইজির মাজার
- টেগর লজ – মিলপাড়ায়
- পরিমল থিয়েটার
- গোপীনাথ জিউর মন্দির –
- মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটা
- পাকশী রেল সেতু
- লালন শাহ সেতু
বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ
- পরিমল থিয়েটার
- গোপীনাথ জিউর মন্দির –
- রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ী –
- বাউল ফকির লালন সাঁইজির মাজার
আধুনিক স্থাপত্যঃ
- পাকশী রেল সেতু
- লালন শাহ সেতু
ওয়েবসাইট:
http://www.kushtia.gov.bd/
৭. মাগুরা জেলাঃ
আজকের যেখানে মাগুরা জেলা শহর গড়ে ওঠেছে প্রাচীনকাল থেকেই এর গুরুত্ব অত্যধিক ছিল। কখন থেকে মাগুরা নাম হয়েছে তার সঠিক হিসেব মিলানো কষ্টকর। মাগুরা প্রাচীন আমলের একটি গ্রাম। মাগুরা দু’টি অংশে বিভক্ত ছিল। মহকুমা সদরের পূর্বে মাগুরা ও পশ্চিমে ছিল দরি মাগুরা। দরি শব্দের অর্থ মাদুর বা সতরঞ্জি। দরি মাগুরায় মাদুর তৈরি সম্প্রদায়ের লোক বাস করতো বলে নাম হয়েছিল দরি মাগুরা। ধর্মদাস নামে জনৈক মগ আরাকান খেকে এসে আগুরা শহরের পূর্ভ কোণের সোজাসুজি গড়াই নদীর তীরে খুলুমবাড়ি মৌজা প্রভুতি দখল করে। লোকে তাকে মগ জায়গীর বলে আখ্যায়িত করেছিল। অনেকের মতে মগরা থেকে মাগুরা নামের উৎপত্তি। লোক মুখে শোনা যায় এককালে মাগুরা এলাকায় বড় বিল ছিল সেই বিলে পাওয়া যেতো প্রচুর মাগুর মাছ। এই মাগুর মাছের নাম থেকেও মাগুরা নামের উৎপত্তি হতে পারে। মাগুরা নামের উৎপত্তি নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধে্য মতভেদ রয়েছে।
প্রতিষ্ঠিত সাল:
১৯৮৪ সালে।
আয়তন :
১০৪৮.৬১ বর্গ কিঃ মিঃ
উপজেলাসমূহ:
- মাগুরা সদর উপজেলা
- মোহাম্মদপুর উপজেলা
- শালিখা উপজেলা
- শ্রীপুর উপজেলা
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ
- রাজা সীতারাম রায়ের প্রাসাদ-দুর্গ -এর রাজবাড়ী
- কবি কাজী কাদের নেওয়াজ এর বাড়ী
- বিড়াট রাজার বাড়ী
- পীর তোয়াজউদ্দিন -এর মাজার ও দরবার শরীফ
- চন্ডীদাস ও রজকিনীর ঐতিহাসিক ঘাট
- সিদ্ধেশ্বরী মঠ
- মুক্তিযুদ্ধের চিহ্নঃ মাগুরা পিটিআই চত্ত্বরে গণকবর, ওয়াবদাপাড়া খাল, বিনোদপুর বাজার, গলাকাটা সেতু (ছাইঘারিয়া)। ছাইঘারিয়া স্মৃতি সৌধ পিটিআই প্রধান ফাটক মাগুরা বিশ্বরোড সংলগ্ন।[৪]
বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ
- রাজা সীতারাম রায়ের প্রাসাদ-দুর্গ -এর রাজবাড়ী
- কবি কাজী কাদের নেওয়াজ এর বাড়ী
- বিড়াট রাজার বাড়ী
- পীর তোয়াজউদ্দিন -এর মাজার ও দরবার শরীফ
- চন্ডীদাস ও রজকিনীর ঐতিহাসিক ঘাট
- সিদ্ধেশ্বরী মঠ
- মুক্তিযুদ্ধের চিহ্নঃ মাগুরা পিটিআই চত্ত্বরে গণকবর
- ওয়াবদাপাড়া খাল
- গলাকাটা সেতু (ছাইঘারিয়া)
- ছাইঘারিয়া স্মৃতি সৌধ পিটিআই প্রধান ফাটক
আধুনিক স্থাপত্যঃ
- রাজা সীতারাম রায়ের প্রাসাদ-দুর্গ -এর রাজবাড়ী
- বিড়াট রাজার বাড়ী
- চন্ডীদাস ও রজকিনীর ঐতিহাসিক ঘাট
ওয়েবসাইট:
http://www.magura.gov.bd/
৮. মেহেরপুর জেলাঃ
মেহেরপুর নামকরণ সম্পর্কে এ পর্যন্ত দুটি অনুমান ভিত্তিক তথ্য পাওয়া গেছে। প্রথমটি ইসলাম প্রচারক মরবেশ মেহের আলী নামীয় জনৈক ব্যক্তির নামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মেহেরপুর রাখা হয়। দ্বিতীয়টি বচনকার মিহির ও তাঁর পুত্রবধু খনা এই শহরে বাস করতেন বলে প্রচলিত আছে। মিহিরের নাম থেকে মিহিরপুর এবং পরবর্তীতে তা মেহেরপুর হয়। ১৯৮৪ সালের ২৪ শে ফেব্রুয়ারী মেহেরপুর জেলার মর্যাদা লাভ করে।
প্রতিষ্ঠিত সাল:
১৯৮৪ সালে।
আয়তন :
৭৫১.৬২ বর্গ কিঃ মিঃ
উপজেলাসমূহ:
- গাংনী উপজেলা
- মেহেরপুর সদর উপজেলা
- মুজিবনগর উপজেলা
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ
- করমদী গোসাঁইডুবি মসজিদ
- শিব মন্দির , বল্লভপুর
- বরকত বিবির মাজার
- বাঘুয়াল পীরের দরগা
- ভবানীপুর মন্দির
- ভাটপাড়া ও আমঝুপি নীলকুঠি
বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ
- মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ
- পৌর ঈদগাহ
- মেহেরপুর শহীদ স্মৃতিসৌধ
- আমদহ গ্রামের স্থাপত্য নিদর্শন
- সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির
- আমঝুপি নীলকুঠি
- ভাটপাড়া নীলকুঠি
- ভবানন্দপুর মন্দির
- কালাচাঁদপুর শাাহ ভালাই এর দরগা
- বল্লভপুর চার্চ
- ভবরপাড়া রোমান ক্যাথলিক চার্চ
- নায়েব বাড়ি মন্দির
- স্বামী নিগমানন্দ সারস্বত আশ্রম
আধুনিক স্থাপত্যঃ
- মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ
- সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির
- আমঝুপি নীলকুঠি
- ভাটপাড়া নীলকুঠি
ওয়েবসাইট:
http://www.meherpur.gov.bd/
৯. নড়াইল জেলাঃ
নড়াইল নামকরণ নিয়ে ঐতিহাসিকবিদরা ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশ করেন। কিংবদন্তী আছে, নড়িয়াল ফকিরের আশীর্বাদপুষ্ট নড়ি থেকে নড়িয়াল নামের উৎপত্তি। নড়িয়াল ফকিরের আশীর্বাদপুষ্ট তাই নাম হয় নড়িয়াল। পরবর্তীতে লোকমুখে বিকৃত হয়ে নড়িয়াল থেকে নড়াইল।
প্রতিষ্ঠিত সাল:
১৯৮৪ সালে।
আয়তন :
৯৯০.২৩ বর্গ কিঃ মিঃ
উপজেলাসমূহ:
- কালিয়া উপজেলা
- নড়াইল সদর উপজেলা
- লোহাগড়া উপজেলা
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ
- গোয়াল বাথান গ্রামের মসজিদ
- কদমতলা মসজিদ
- নালদীতে গাজীর দরগা
- উজিরপুরে রাজা কেশব রায়ের বাড়ী
- জোড় বাংলায় অষ্টাদশ শতাব্দীতে নির্মিত রাধাগোবিন্দ মন্দির।
- লক্ষ্মীপাশায় কালিবাড়ী
- নিহিনাথতলার বড়দিয়াতে মঠ
- মধুমতি নদীর উপর নির্মিত চাপাইল সেতু।
বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ
- নালদীতে গাজীর দরগা
- জোড় বাংলায় অষ্টাদশ শতাব্দীতে নির্মিত রাধাগোবিন্দ মন্দির।
- নিহিনাথতলার বড়দিয়াতে মঠ
- লক্ষ্মীপাশায় কালিবাড়ী
আধুনিক স্থাপত্যঃ
পরে জানানো হবে
ওয়েবসাইট:
http://www.narail.gov.bd/
১০. সাতক্ষীরা জেলাঃ
সাতক্ষীরা জেলার আদি নাম ছিল সাতঘরিয়া। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সময় বিষ্ণুরাম চক্রবর্তী নদীয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের কর্মচারী হিসেবে ১৭৭২ সালে নিলামে এই পরগনা কিনে গ্রাম স্থাপন করেন। তাঁর পুত্র প্রাণনাথ চক্রবর্তী সাতঘর কুলীন ব্রাক্ষ্মণ এনে এই পরগনায় প্রতিষ্ঠিত করেন তা থেকে সাতঘরিয়া নাম হয়।
প্রতিষ্ঠিত সাল:
১৯৮৪ সালে।
আয়তন :
৩৮৫৮.৩৩ বর্গ কিঃ মিঃ
উপজেলাসমূহ:
- আশাশুনি উপজেলা
- কলারোয়া উপজেলা
- কালীগঞ্জ উপজেলা
- তালা উপজেলা
- দেবহাটা উপজেলা
- শ্যামনগর উপজেলা
- সাতক্ষীরা সদর উপজেলা
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ
- প্রবাজপুর শাহী মসজিদ
- তেতুলিয়া জামে মসজিদ
- ইশ্বরীপুর হাম্মামখানা
- জাহাজ ঘাটা হাম্মামখানা ও তৎসংলগ্ন প্রত্নতাত্ত্বিক ধ্বংসাবশেষ
- ঝুঁড়িঝাড়া ঢিবি
- দরবার স্তম্ভ
- গোবিন্দ দেবের মন্দির ঢিবি
- যীশুর র্গীজা (শ্যামনগর)
- যশোরেশ্বরী মন্দির
- শ্যাম সুন্দর মন্দির
- কোঠাবাড়ির থান
- ছয়ঘরিয়া জোড়াশিব মন্দির
- অন্নপূর্ণা মন্দির
- দ্বাদশ শিব মন্দির
- জমিদার বাড়ি জামে মসজিদ
বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ
- সুন্দরবন;
- মান্দারবাড়ী সমুদ্র সৈকত – শ্যামনগর;
- জমিদার বাড়ি ও যশোরেশ্বরী মন্দির – শ্যামনগর;
- নলতা রওজা শরীফ – কালীগঞ্জ;
- নীলকুঠি – দেবহাটা থানা;
- মাইচম্পার দরগা;
- লাবসা – সাতক্ষীরা;
- বৌদ্ধ মঠ – কলারোয়া;
- তেঁতুলিয়া মসজিদ – তালা;
- মোজাফফর গার্ডেন;
- বনলতা বাগান ও মিনি পিকনিক স্পট – কালিগঞ্জ,সাতক্ষীরা;
- আব্বাস গার্ডেন;
- জমিদার হরিচরনের বাড়ি- শ্যামনগর;
- জাহাজঘাটা-ভুরুলিয়া, শ্যামনগর;
- মাটির টালি তৈরির কারখানা – কলারোয়া, সাতক্ষীরা;
- বনবিবির বটগাছ- দেবহাটা, সাতক্ষীরা;
- কলাগাছি, সুন্দরবন;
- আকাশনীলা ইকো ট্যুরিজম সেন্টার; মুন্সিগঞ্জ, শ্যামনগর;
- ভোমরা স্থল বন্দর, সাতক্ষীরা;
- শ্যামনগর উপজেলার ঐতিহাসিক গোপালপুর স্মৃতিসৌধ;
- রেডিও নলতা- নলতা, কালীগঞ্জ, সাতক্ষীরা।
আধুনিক স্থাপত্যঃ
পরে জানানো হবে
ওয়েবসাইট:
http://www.satkhira.gov.bd/
আরো দেখুন