ঢাকা বিভাগ নামকরণ
ঢাকা বিভাগে মোট ১৩ টি জেলা রয়েছে। এগুলো হলো:- ঢাকা
- কিশোরগঞ্জ
- গোপালগঞ্জ
- ফরিদপুর
- মাদারীপুর
- মানিকগঞ্জ
- মুন্সীগঞ্জ
- রাজবাড়ী
- নারায়ণগঞ্জ
- গাজীপুর
- টাঙ্গাইল
- নরসিংদী
১. ঢাকা জেলাঃ
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা মোঘল-পূর্ব যুগে কিছু গুরুত্বধারন করলেও শহরটি ইতিহাসে প্রসিদ্ধি লাভ করে মোঘল যুগে। ঢাকা নামের উৎপত্তি সম্পর্কে স্পষ্ট করে তেমন কিছু জানা যায় না। এ সম্পর্কে প্রচলিত মতগুলোর মধ্যে কয়েকটি নিম্নরূপঃ ক) একসময় এ অঞ্চলে প্রচুর ঢাক গাছ (বুটি ফুডোসা) ছিল; খ) রাজধানী উদ্বোধনের দিনে ইসলাম খানের নির্দেশে এখানে ঢাক অর্থাৎ ড্রাম বাজানো হয়েছিল; গ) ‘ঢাকাভাষা’ নামে একটি প্রাকৃত ভাষা এখানে প্রচলিত ছিল; ঘ) রাজতরঙ্গিণী-তে ঢাক্কা শব্দটি ‘পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র’ হিসেবে উল্লেখিত হয়েছে অথবা এলাহাবাদ শিলালিপিতে উল্লেখিত সমুদ্রগুপ্তের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ডবাকই হলো ঢাকা। কথিত আছে যে, সেন বংশের রাজা বল্লাল সেন বুড়িগঙ্গা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভ্রমণকালে সন্নিহিত জঙ্গলে হিন্দু দেবী দুর্গার বিগ্রহ খুঁজে পান। দেবী দুর্গার প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ রাজা বল্লাল সেন ঐ এলাকায় একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। যেহেতু দেবীর বিগ্রহ ঢাকা বা গুপ্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল তাই রাজা মন্দিরের নাম ঢাকেশ্বরী মন্দির। মন্দিরের নাম থেকেই কালক্রমে স্থানটির নাম ঢাকা হিসেবে গড়ে ওঠে।আবার অনেক ঐতিহাসিকদের মতে, মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর যখন ঢাকাকে সুবা বাংলার রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেন, তখন সুবাদার ইসলাম খান আনন্দের বহিঃপ্রকাশ স্বরূপ শহরে ‘ঢাক’ বাজানোর নির্দেশ দেন। এই ঢাক বাজানোর কাহিনী লোকমুখে কিংবদন্দির রূপ ধারণ করে এবং তা থেকেই এই শহরের নাম ঢাকা হয়ে যায়। এখানে উল্লেখ্য যে, ১৬১০ খ্রিষ্টাব্দে ইসলাম খান চিশতি সুবাহ বাংলার রাজধানী রাজমহল থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করেন এবং সম্রাটের নামানুসারে এর নামকরণ করে জাহাঙ্গীরনগর। প্রতিষ্ঠিত সাল:
১৭৭২ সালে।
আয়তন :
উপজেলাসমূহ:১৪৬৩.৬০ বর্গ কিঃ মিঃ
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ
- ধামরাই উপজেলা
- দোহার উপজেলা
- কেরানীগঞ্জ উপজেলা
- নবাবগঞ্জ উপজেলা,
- সাভার উপজেলা।
বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃঢাকেশ্বরী মন্দির, লালবাগ কেল্লা, আহসান মঞ্জিল, হোসেনী দালান, ছোট কাটরা, বড় কাটরা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (লেক,জাবি বোটানিক্যাল গার্ডেন,সংশপ্তক), কার্জন হল, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ভবন (পুরাতন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা ভবন), সাত গম্বুজ মসজিদ, তারা মসজিদ, ঢাকা গেইট, পরীবিবির মাজার পার্কপার্ক
আধুনিক স্থাপত্যঃরমনা পার্ক, সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যান, বোটানিক্যাল গার্ডেন, ঢাকা শিশু পার্ক, বুড়িগঙ্গা নদী, ঢাকা চিড়িয়াখানা, বাংলাদেশ জাতীয় যাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর, স্মৃতিসৌধ ও স্মারকঃ জাতীয় শহীদ মিনার, শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ, (রায়ের বাজার), অপরাজেয় বাংলা-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, আসাদ গেইট
জাতীয় সংসদ ভবন, বাংলাদেশ ব্যাংক ভবন, ভাসানী নভো থিয়েটার, বসুন্ধরা সিটিওয়েবসাইট:
http://www.dhaka.gov.bd/
২. ফরিদপুর জেলাঃ
ফরিদপুরের নামকরণ করা হয়েছে এখানকার প্রখ্যাত সুফী সাধক শাহ শেখ ফরিদুদ্দিনের নামানুসারে।
প্রতিষ্ঠিত সাল:১৮১৫ সালে।
আয়তন :
উপজেলাসমূহ:২০৭২.৭২ বর্গ কিঃ মিঃ
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ
- ফরিদপুর সদর উপজেলা
- বোয়ালমারী উপজেলা
- আলফাডাঙা উপজেলা
- মধুখালী উপজেলা
- ভাঙ্গা উপজেলা
- নগরকান্দা উপজেলা
- চর ভদ্রাসন উপজেলা
- সদরপুর উপজেলা
- সালথা উপজেলা
বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ
- শেরশাহ গ্র্যান্ড ট্রাংক রোড
- মথুরাপুর দেউল
- পাতরাইল মসজিদ ও দিঘী,
- সাতৈর শাহী মসজিদ
- ফরিদপুর জেলা জজ কোর্ট ভবন
- ভাঙ্গা মুন্সেফ আদালত ভবন।
- শ্রীঅঙ্গন
- কানাইপুর জমিদার বাড়ি
আধুনিক স্থাপত্যঃ
- নদী গবেষণা ইন্সটিটিউট
- টেপাখোলা সুইচ গেট
- ধলার মোড় (পদ্মার পাড়)
- রাজেন্দ্র কলেজ (সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ)
- পদ্মা বাধ
- পল্লী কবি জসীম উদ্দীন এর বাসভবন।
- আটরশী বিশ্ব জাকের মঞ্জিল
- পদ্মা নদীর বালুচর,সি এন্ড বি ঘাট
- শ্রীধাম শ্রীঅঙ্গন (hindu temple)
- শেখ রাসেল শিশু পার্ক (amusement park)
- তালমা মোড় (গরুর খামার)
- অম্বিকা ময়দান
- ফরিদপুর জেলা জজ কোর্ট ভবন
- ফলিয়া মুন্সী বাড়ি ,আলফাডাঙ্গা
- মীরগঞ্জ নীল কুঠি,আলফাডাঙ্গা
ওয়েবসাইট:
- ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি,
- ফরিদপুর,সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ,
- ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ,
- ফরিদপুর ডায়াবেটিক এসোসিয়েশন মেডিকেল কলেজ,
- ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট,
- ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ,
- সরকারি ইয়াছিন কলেজ,
- সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজ,
- ফরিদপুর জিলা স্কুল,
- চরমাধবদিয়া ইউনাইটেড উচ্চ বিদ্যালয়,
- মাধবদিয়া ময়েজউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়,
- মহিম ইনিস্টিটিউট।
- কাসিমুল উলুম ইসলামিয়া মাদরাসা নগরকান্দা
http://www.faridpur.gov.bd/
৩. গাজীপুর জেলাঃ
বিলু কবীরের লেখা ‘বাংলাদেশের জেলা : নামকরণের ইতিহাস’ বই থেকে জানা যায়, মহম্মদ বিন তুঘলকের শাসনকালে জনৈক মুসলিম কুস্তিগির গাজী এ অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিলেন এবং তিনি বহুদিন সাফল্যের সঙ্গে এ অঞ্চল শাসন করেছিলেন। এ কুস্তিগির/পাহলোয়ান গাজীর নামানুসারেই এ অঞ্চলের নাম রাখা হয় গাজীপুর বলে লোকশ্রুতি রয়েছে। আরেকটি জনশ্রুতি এ রকম সম্রাট আকবরের সময় চবি্বশ পরগনার জায়গিরদার ছিলেন ঈশা খাঁ। এই ঈশা খাঁরই একজন অনুসারীর ছেলের নাম ছিল ফজল গাজী। যিনি ছিলেন ভাওয়াল রাজ্যের প্রথম ‘প্রধান’। তারই নাম বা নামের সঙ্গে যুক্ত ‘গাজী’ পদবি থেকে এ অঞ্চলের নাম রাখা হয় গাজীপুর। গাজীপুর নামের আগে এ অঞ্চলের নাম ছিল জয়দেবপুর। এ জয়দেবপুর নামটি কেন হলো, কতদিন থাকল, কখন, কেন সেটা আর থাকল না_ সেটিও প্রাসঙ্গিক ও জ্ঞাতব্য। ভাওয়ালের জমিদার ছিলেন জয়দেব নারায়ণ রায় চৌধুরী। বসবাস করার জন্য এ জয়দেব নারায়ণ রায় চৌধুরী পীরাবাড়ি গ্রামে একটি গৃহ নির্মাণ করেছিলেন। গ্রামটি ছিল চিলাই নদীর দক্ষিণ পাড়ে। এ সময় ওই জমিদার নিজের নামের সঙ্গে মিল রেখে এ অঞ্চলটির নাম রাখেন ‘জয়দেবপুর’ এবং এ নামই বহাল ছিল মহকুমা হওয়ার আগ পর্যন্ত। যখন জয়দেবপুরকে মহকুমায় উন্নত করা হয়, তখনই এর নাম পাল্টে জয়দেবপুর রাখা হয়। উল্লেখ্য, এখনো অতীতকাতর-ঐতিহ্যমুখী স্থানীয়দের অনেকেই জেলাকে ‘জয়দেবপুর’ বলেই উল্লেখ করে থাকেন। গাজীপুর সদরের রেলওয়ে স্টেশনের নাম এখনো ‘জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশন’। তবে বিস্তারিত আলোচনায় গেলে বলতেই হয়, গাজীপুরের আগের নাম জয়দেবপুর এবং তারও আগের নাম ভাওয়াল। গাজীপুরকে ১৯৮৪খ্রিস্টাব্দের ১ মার্চ জেলা এবং ২০১৩ খ্রিস্টাব্দের ৭ জানুয়ারী রোজ: সোমবার সিটি কর্পোরেশন ঘোষণা করা হয়।
প্রতিষ্ঠিত সাল:১৯৮৪ সালে।
আয়তন :
উপজেলাসমূহ:১৭৭০.৫৮ বর্গ কিঃ মিঃ
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ
- কালিয়াকৈর উপজেলা
- কালীগঞ্জ উপজেলা
- কাপাসিয়া উপজেলা
- গাজীপুর সদর উপজেলা
- শ্রীপুর উপজেলা
বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ
- উধুর জগন্নাথদদেবের বিগ্রহ মন্দির
- ভাওয়াল রাজবাড়ী
- ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান
- আনসার একাডেমী, সফিপুর
- নুহাশ পল্লী
- জাগ্রত চৌরঙ্গী
- বলিয়াদী জমিদার বাড়ী
- শ্রীফলতলী জমিদার বাড়ী
- নাগবাড়ী, চান্দনা, চৌরাস্তা।
- নাগরী, পাঞ্জুরা চার্চ
- রাংগামাটিয়া, তুমিলিয়া, কালীগঞ্জ
- বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক
- মন পুড়া পার্ক, কাশিমপুর,গাজীপুর
- নাগরী টেলেন্টিনুর সাধু নিকোলাসের গীর্জা
- বড় ভূঁইয়া বাড়ী, লুটিয়ারচালা, ভবানীপুর, গাজীপুর
আধুনিক স্থাপত্যঃকালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক ইউনিয়নের বাঁশতলী নামক গ্রামে সাম্প্রতিককালে ৩০০ বছরের পুরানো একটি সাদা পাকুড় গাছ আবিস্কৃত হয়েছে যা এ পর্যন্ত বাংলাদেশের আর কোথাও দেখা যায় নি। গাছটিকে ঘিরে পর্যটনশিল্প গড়ে উঠার সম্ভাবনা রয়েছে।
দেশের একমাত্র হাইটেক পার্কসহ বহু সংখ্যক সরকারী, স্বায়ত্বশাসিত, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এবং ক্ষুদ্র/মাঝারী ও ভারী শিল্প কারখানাসহ দেশের তৈরী পোষাক শিল্পের বিরাট অংশ। মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা টংগীর তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হয়।ওয়েবসাইট:
wwww. sfsa.cvsdfsafsf
৪. গোপালগঞ্জ জেলাঃ
গোপালগঞ্জ জেলা শহরের রয়েছে প্রাচীন ইতিহাস। অতীতের রাজগঞ্জ বাজার আজকের জেলা শহর গোপালগঞ্জ। আজ থেকে প্রায় শতাব্দীকাল পূর্বে শহর বলতে যা বুঝায় তার কিছুই এখানে ছিলোনা। এর পরিচিতি ছিলো শুধু একটি ছোট্ট বাজার হিসেবে। এঅঞ্চলটি মাকিমপুর ষ্টেটের জমিদার রানী রাসমণির এলাকাধীন ছিলো। উল্লেখ্য রানী রাসমণি একজন জেলের মেয়ে ছিলেন। সিপাই মিউটিনির সময় তিনি একজন উচ্চ পদস্থ ইংরেজ সাহেবের প্রাণ রক্ষা করেন। পরবর্তীতে তারই পুরস্কার হিসাবে বৃটিশ সরকার রাসমণিরকে মাকিমপুর ষ্টেটের জমিদারী প্রদার করেন এবং তাঁকে রানী উপাধিতে ভূষিত করেন। রানী রাসমণির এক নাতির নাম ছিলো নব-গোপাল তিনি তাঁর স্নেহাস্পদ নাতির নাম এবং পুরানো ইতিহাসকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য নাতিন নামের ‘গোপাল’ অংশটি প্রথমে রেখে তার সাথে রাজগঞ্জের ‘গঞ্জ’ যোগ করে এ জাযগাটির নতুর নামকরণ করেন গোপালগঞ্জ। ১৯৮৪ সালে ফরিদপুর জেলার মহকুমা থেকে গোপালগঞ্জ জেলা সৃষ্টি হয়।
প্রতিষ্ঠিত সাল:১৯৮৪ সালে।
আয়তন :
উপজেলাসমূহ:১৪৬৮.৭৪ বর্গ কিঃ মিঃ
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ
- গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা
- মুকসুদপুর উপজেলা
- কাশিয়ানী উপজেলা
- কোটালীপাড়া উপজেলা
- টুঙ্গিপাড়া উপজেলা
বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ
- ঐতিহাসিক রমেশ চন্দ্র মজুমদারের পৈতৃক বাড়ী
- উজানীর জমিদার বাড়ী
- দিঘলীয়া দক্ষিণা কালী বাড়ী,
- বহুতলী মসজিদ (১৫৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত)
আধুনিক স্থাপত্যঃ
- চন্দ্রা ভর্মা ফোর্ট (কোটাল দুর্গ),
- কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের পৈত্রিকবাড়ী,
- কবি কৃষ্ণনাথ সর্বভৌম (ললিত লবঙ্গলতা কাব্যগন্থের প্রণেতা)-র বাড়ী,
- হরিণাহাটির জমিদার বাড়ী,
- সেন্ট মথুরানাথের সমাধি,
- শ্রীধাম ওড়াকান্দি,
- জগদান্দ মহাশয়ের তীর্থভূমি,
- ননীক্ষীরে নবরত্ন মঠ,
- ধর্মরায়ের বাড়ি,
- দীঘলিয়া দক্ষিণা কালীবাড়ি,
- মধুমতি নদী,
- বিলরুট ক্যানেল,
- হেরন কান্দির আমগাছ,
- আড়পাড়া মুন্সীবাড়ি,
- শুকদেবের আশ্রম,
- খানার পাড় দীঘি,
- উলপুর জমিদারবাড়ি,
- রাজা সমাচার দেব, ধর্মাদিত্য ও গোপচন্দ্রের আমলের তাম্রলিপি,
- সত্য ধর্মের প্রবর্তক দীননাথ সেনের সমাধিসৌধ (জলিরপাড়, মুকসুদপুর)।
- পাগল সেবাশ্রম, কদমবাড়ি।
- গওহরডাঙ্গা মাদরাসা( টুংগিপাড়া)
- বাঘিয়ার বিল(টুংগিপাড়া)।
ওয়েবসাইট:
- টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি কমপ্লেক্স,
- ৭১-এর বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ (স্মৃতিস্তম্ভ)
http://www.gopalganj.gov.bd/
৫. মাদারীপুর জেলাঃ
মাদারীপুর জেলা একটি ঐতিহাসিক সমৃদ্ধ জনপদ ছিল। পঞ্চদশ শতাব্দীতে সাধক হযরত বদরুদ্দিন শাহ মাদার (র) এর নামানুসারে এই জেলার নামকরণ করা হয়। প্রাচীনকালে মাদারীপুরের নাম ছিল ইদিলপুর।
প্রতিষ্ঠিত সাল:১৯৮৪ সালে।
আয়তন :
উপজেলাসমূহ:১১৪৪.৯৬ বর্গ কিঃ মিঃ
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ
- মাদারীপুর সদর উপজেলা
- শিবচর উপজেলা
- কালকিনী উপজেলা
- রাজৈর উপজেলা
মাদারিপুর জেলায় প্রায় ১০টি নদী আছে। সেগুলো হচ্ছে –বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ
- পদ্মা,
- আড়িয়াল খাঁ নদী,
- কুমার আপার নদী,
- কুমার লোয়ার নদী,
- বিশারকন্দা-বাগদা নদী,
- টর্কি নদী,
- পালর্দি নদী,
- পালং নদী,
- মাদারিপুর নদী এবং
- ময়নাকাটা নদী।
ওয়েবসাইট:
- পালং নদী,
- মাদারিপুর নদী
http://www.madaripur.gov.bd/
৬. মানিকগঞ্জ জেলাঃ
মূরত সংস্কৃত ‘মানিক্য’ শব্দ থেকে মানিক শব্দটি এসেছে। মানিক হচ্ছে চুনি পদ্মরাগ। গঞ্জ শব্দটি ফরাসী। মানিকগঞ্জের নামের ঋৎপত্তি ইতিহাস আজও রহস্যবৃত। অষ্টাদশ শতকের প্রথমার্ধে সুফি দরবেশ মানিক শাহ সিংগাইর উপজেলার মানিকনগরে আসেন এবং খানকা প্রতিষ্ঠা করে ইসলাম ধর্ম প্রচার শুরু করেন।কারও মতে দূর্ধর্ষ পাঠান সর্দার মানিক ঢালীর নামানুসারে মানিকগঞ্জ নামের উৎপত্তি। আবার কারো মতে, নবাব সিরাজ উদ-দৌলার বিশাবাস ঘাতক মানিক চাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ তার নমানুসারে ১৮৪৫ সালের মে মাসে মানিকগঞ্জ মহকুমার নামকরণ হয়। মানিকগঞ্জ মহকুমার নামকরণ সম্পর্কীত উল্লেখ্য তিনটি পৃথক স্থানীয় জনশ্রুতি এবং অনুমান নির্ভর। এর কোন ঐতিহাসিক ভিত্তি পাওয়া যায়নি, তবে মানিক শাহের নামানুসারে মানিকগঞ্জ মহকুমার নামকরণ সম্পর্কীত জনশ্রুতি এবং ঘটনা প্রবাহ থেকে যে চিত্র পাওয়া যায় তাই সঠিক বলে ধরা হয়।
প্রতিষ্ঠিত সাল:১৯৮৪ সালে।
আয়তন :
উপজেলাসমূহ:১৩৭৮.৯৯ বর্গ কিঃ মিঃ
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ
- ঘিওর উপজেলা
- দৌলতপুর উপজেলা
- মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা
- শিবালয় উপজেলা
- সাটুরিয়া উপজেলা
- সিঙ্গাইর উপজেলা
- হরিরামপুর উপজেলা
বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ
- আরিচা ঘাট এই এলাকার অন্যতম দর্শনীয় স্থান।
- বেউথা ঘাট কালিগঙ্গা নদীর তীর
আধুনিক স্থাপত্যঃ
- পাটুরিয়া ফেরি ঘাট, মানিকগঞ্জ
- তেঁওতা জমিদার বাড়ি, মানিকগঞ্জ
ওয়েবসাইট:
- যমুনা সেতুর
http://www.manikganj.gov.bd/
৭. মুন্সীগঞ্জ জেলাঃ
মুন্সিগঞ্জে প্রাচীন নাম ছিল ইদ্রাকপুর। মোঘল শাসনামলে এই ইদ্রাকপুর গ্রামে মুন্সী হায়দার হোসেন নামে একজন ব্যক্তি ছিলেন। তিনি মোঘল শাসক দ্বারা ফৌজদার নিযুক্ত ছিলেন। অত্যন্ত সজ্জন ও জনহিতৈষী মুন্সী হায়দার হোসেনের নামে ইদ্রাকপুরের নাম হয় মুন্সীগঞ্জ। কারো কারো মতে জমিদার এনায়েত আলী মুন্সীর নামানুসারে মুন্সীগঞ্জে নামকরণ করা হয়।
প্রতিষ্ঠিত সাল:১৯৮৪ সালে।
আয়তন :
উপজেলাসমূহ:৯৫৪.৯৬ বর্গ কিঃ মিঃ
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ
- শ্রীনগর উপজেলা
- সিরাজদীখান উপজেলা
- লৌহজং উপজেলা
- টঙ্গীবাড়ী উপজেলা
- মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা
- গজারিয়া উপজেলা
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের রঘুরামপুর গ্রামে মাটির নিচে চাপা পড়ে থাকা হাজার বছরের পুরনো বৌদ্ধ বিহারের সন্ধান মিলেছে। প্রত্নসম্পদ ও ঐতিহাসিক নিদর্শন উদ্ধারে চালানো খনন কাজের মাধ্যমে এ বৌদ্ধ বিহার আবিষ্কৃত হয়।বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ
আধুনিক স্থাপত্যঃ
- জগদীশ চন্দ্র বসুর জন্মস্থান
- অতীশ দীপঙ্করের জন্মস্থান,
- রাজা শ্রীনাথের বাড়ি,
- রামপালে বাবা আদমের মসজিদ,
- হাসারার দরগা,
- সোনারং জোড়া মন্দির,
- পদ্মার চর,
- ইদ্রাকপুর কেল্লা,
- রাজা বল্লাল সেন ও হরিশচন্দ্রের দীঘি,
- শ্যামসিদ্ধির মঠ,
- শুলপুরের গির্জা,
- মেঘনা ভিলেজ হলিডে রিসোর্ট
ওয়েবসাইট:
- প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ
http://www.munshiganj.gov.bd/
৮. নারায়ণগঞ্জ জেলাঃ
১৭৬৬ সালে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা বিকন লাল পান্ডে( বেণু ঠাকুর বা লক্ষীনায়ায়ণ ঠাকুর) ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নিকট থেকে এ অঞ্চলের মালিকানা গ্রহণ করে। তিনি প্রভু নারায়ণের সেবার ব্যয়ভার বহনের জন্য একটি উইলের মাধ্যমে শীতলক্ষা নদীর তীরে অবস্থিত মার্কেটকে দেবোত্তর সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করেন। তাই পরবর্তীকালে এ স্থানের নাম হয় নারায়ণগঞ্জ।
প্রতিষ্ঠিত সাল:১৭৭২ সালে।
আয়তন :
উপজেলাসমূহ:১0000 বর্গ কিঃ মিঃ
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ
- নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা
- বন্দর উপজেলা
- আড়াইহাজার উপজেলা
- রূপগঞ্জ উপজেলা
- সোনারগাঁও উপজেলা
বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ
- প্রাচীন বৌদ্ধ মঠ, বারদী
- বারদী বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারীর আশ্রম ও মন্দির
- লাঙ্গলবন্দ স্নান ঘাট (পুন্য স্নানের জন্যে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পুন্য তীর্থ -স্নান )
- লাঙ্গলবন্দ প্রাচীন মন্দির
- সাব্দী কালী মন্দির
- সাব্দী মঠ
- লক্ষী নারায়ণ পুষ্কুরিনি
- লক্ষী নারায়ণ কটন মিল
- কাইকারটেক হাট
- কাঠ গোলাপ স্থান
- গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোড বা “সড়ক ই আজম “
- সোনাকান্দা হাট
- সোনাকান্দা দূর্গ (১৬৬০)
- ত্রিবেণী ঈশা খান পরিখা (সোনারগাঁও থেকে সোনাকান্দা) (১৬৬০)
- ত্রিবেণী পুল (১৬৬০)
- হাজীগঞ্জ দূর্গ (১৬৬৩)
- কেল্লার পুল (১৬৬৩)
- ত্রিমোহনী পুল (১৬৬৬)
- পাগলা পুল (১৬৬৬)
- আশরাফিয়া জামে মসজিদ, আমলাপাড়া
- “কোম্পানি কুঠি” বা “নীল কুঠি”
- (অধুনা লুপ্ত) আদমজী জুট মিল
- মুড়াপাড়া জমিদার বাড়ি
- ফকিরটোলা মসজিদ
- কালিরবাজার মসজিদ
- সাব্দী কালী মন্দির
- লর্ড ইংরেজ সাহেবের কুঠি
- বায়তুল আমান (১৯৩৯)
- বোসে কেবিন (১৯৪২)
- এ কে এম রহমত উল্ল্যাহ মুসলিম ইনস্টিটিউট (১৯৫২)
- বাংলার তাজমহল
- বাংলার পিরামিড
- কাঁচপুর সেতু
- কাঞ্চন সেতু
- সুলতানা কামাল সেতু
- পূর্বাচল উপশহর
- রূপায়ণ উপশহর
- পন্ডস গার্ডেন
- সোনাকান্দা স্টেডিয়াম
- টি হোসেন গার্ডেন, বাগান বাড়ি।
- জালকুড়ি বোট ক্লাব
- নম পার্ক
- মেরি এন্ডারসন (পর্যটনের ভাসমান রেস্তোরা)
- এডভ্যানচার ল্যান্ড
- রয়েল রিসোর্ট
রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁও অঞ্চলের জামদানি ও মসলিনের কাপড় তৈরির ইতিহাস প্রায় সাড়ে ৪ শত বছরের পুরোনো। ইতিহাস খ্যাত মসলিন কাপড় প্রচীনকালে এখানে তৈরী হতো। মিশরের মমির শরীরে পেচানো মসলিন এই সোনারগাঁয়ের তৈরি বলে জানা যায়। বর্তমানে জামদানি শিল্প টিকে থাকলেও মসলিন শিল্প বিলুপ্ত।
আধুনিক স্থাপত্যঃ
- পানাম নগর, সোনারগাঁও
- সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘর
- লর্ড ইংরেজ সাহেবের বাংলো (ধ্বংসাবশেষ )
- জাতীয় ক্রিকেট ষ্টেডিয়াম (৩য়), ফতুল্লা
- জিন্দা পার্ক
- রাসেল পার্ক ও মিনি চিড়িয়াখানা
- রাজা লক্ষী নারায়ণ মন্দির (১১৭৩)
- বাবা সালেহর মসজিদ (১৫০৫)
- বাবা সালেহর সমাধি (১৫০৬)
- গোয়ালদী মসজিদ (১৫১৯)
- কদম রসূল দরগাহ (১৫৮০)
- কদম রসূল সুলতানি মসজিদ (১৫৮০)
- জয়বাবা লোকনাথ মন্দির (১৪০১)
- বন্দর শাহী মসজিদ (১৪৮১)
- সুলতান গিয়াস উদ্দিন আজম শাহের সমাধি (১৩৯৩-১৪১১)
- কাজী সিরাজউদ্দিনের সমাধি (১৩৯৩-১৪১১)
- পাঁচ পীরের সমাধি
- বন্দর শাহী মসজিদ পুষ্কুরিনি বা “গায়েবানা পুকুর’ (১৪৮১)
- সুলতান জালাল উদ্দিন ফতেহ শাহের এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ (১৪৮৪)
- বিবি মরিয়মের সমাধি, তোরণ দ্বার, অভ্যর্থনাগার। (১৬৭৮)
- বিবি মরিয়মের মসজিদ
ওয়েবসাইট:
- জাতীয় ক্রিকেট ষ্টেডিয়াম (৩য়), ফতুল্লা
http://www.narayanganj.gov.bd/
৯. নরসিংদী জেলাঃ
কথিত আছে, প্রাচীনকালে এ অঞ্চলটি নরসিংহ নামক একজন রাজার শাসনাধীন ছিল। আনুমানিক পঞ্চদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে রাজা নরসিংহ প্রাচীন ব্যক্ষ্মপুত্র নদের পশ্চিম তীরে নরসিংহপুর নামে একটি ছোট নগর স্থাপন করেছিলেনঅ তাঁরই নামানুসারে নরসিংদী নামটি আবির্ভূত হয়। নরসিংহ নামের সাথে ‘দী’ যুক্ত হয়ে নরসিংদী হয়েছে। নরসিংহদী শব্দের পরিবর্তিত রূপই “নরসিংদী”।
প্রতিষ্ঠিত সাল:১৯৮৪ সালে।
আয়তন :
উপজেলাসমূহ:১,১১৪.২০ বর্গ কিঃ মিঃ
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ
- বেলাবো উপজেলা
- মনোহরদী উপজেলা
- শিবপুর উপজেলা
- রায়পুরা উপজেলা
- পলাশ উপজেলা
- নরসিংদী সদর উপজেলা
বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ
- উয়ারী-বটেশ্বর – বেলাব উপজেলার অমলাব ইউনিয়ন;
- সোনাইমুড়ি টেক – শিবপুর উপজেলা;
- ভাই গিরিশ চন্দ্র সেনের বাস্তুভিটা পাঁচদোনা বাজার সংলগ্ল বুড়ারহাট গ্রাম।
- ড্রীম হলিডে পার্ক- পাচদোনা
- বালাপুর জমিদার বাড়ি
তাত শিল্প এর প্রধান হাতিয়ার।পলাশ থানায় আছে অসংখ্য শিল্প কারখানা। ডাংগা থেকে শুরু করে কাউয়াদী পর্যন্ত শীতলক্ষা নদীর তীর ঘেষে রয়েছে একচাপে শিল্প কারখানা।
আধুনিক স্থাপত্যঃ
- ড্রীম হলিডে পার্ক- পাচদোনা
- বালাপুর জমিদার বাড়ি
- বীর শ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্মৃতি জাদুঘর – রায়পুরা উপজেলার রামনগর গ্রাম;
- আশরিনগর মিনি পার্ক -নরসিংদী রেল স্টেশনের সাথেই।
পরে জানানো হবেওয়েবসাইট:
http://www.narsingdi.gov.bd/
১০. রাজবাড়ী জেলাঃ
রাজা সূর্য্য কুমারের নামানুসারে রাজবাড়ীর নামকরণ করা হয়। রাজা সূর্য্য কুমারের পিতামহ প্রভুরাম নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার রাজকর্মী থাকাকালীন কোন কারণে ইংরেজদের বিরাগভাজন হলে পলাশীর যুদ্ধের পর লক্ষীকোলে এস আত্মগোপন করেন। পরে তাঁর পুত্র দ্বিগেন্দ্র প্রসাদ এ অঞ্চলে জমিদারী গড়ে তোলেন। তাঁরই পুত্র রাজা সূর্য্য কুমার ১৮৮৫ সালে জনহিতকর কাজের জন্য রাজা উপাধি প্রাপ্ত হন। ১৯৮৪ সালে ১মার্চ জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
প্রতিষ্ঠিত সাল:১৯৮৪ সালে।
আয়তন :
উপজেলাসমূহ:১১১৮.৮০ বর্গ কিঃ মিঃ
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ
- রাজবাড়ী সদর উপজেলা
- গোয়ালন্দ উপজেলা
- পাংশা উপজেলা
- বালিয়াকান্দি উপজেলা
- কালুখালী উপজেলা
বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ
- রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের লাল ভবন
- মেইন স্ট্রিট প্রধান সড়ক, রাজবাড়ী
- রাজবাড়ি সরকারি কলেজ
- গোদার বাজার (পদ্মানদী)
- শাহ পাহলোয়ানের মাজার;
- দাদ্শী মাজার শরীফ – রাজবাড়ী শহর থেকে ১ কিঃমিঃ পূর্বে;
- জামাই পাগলের মাজার – রাজবাড়ী শহরের ৬ কিঃমিঃ দক্ষিণ-পূর্বে আহলাদিপুর মোড়
- নলিয়া জোড় বাংলা মন্দির – বালিয়াকান্দি থানার নলিয়া গ্রাম;
- সমাধিনগর মঠ – বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়ন;
- রথখোলা সানমঞ্চ – বেলগাছি;
- দৌলতদিয়া ঘাট;
- চাঁদ সওদাগরের ঢিবি;
- কল্যাণদিঘি;
- গোয়ালন্দ ঘাট।
আধুনিক স্থাপত্যঃ
- রাজবাড়ী রেলওয়ে ওভার ব্রিজ
- পদ্মা নদীর গোদার বাজার,রাজবাড়ী অংশে সূর্যাস্ত
- নীলকুঠি;
- মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি কেন্দ্র – পদমদী;
পরে জানানো হবেওয়েবসাইট:
http://www.rajbari.gov.bd/
১১. শরীয়তপুর জেলাঃ
বৃটিশ বিরোধী তথা ফরায়েজী আন্দোলনের অন্যতম নেতা হাজী শরীয়ত উল্লাহর নামানুসারে শরীয়তপুরের নামকরণ করা হয়। ১৯৮৪ সালে ১লা মার্চ শরীয়তপুর জেলা শুভ উদ্বোধন করেন তৎকালীন তথ্য মন্ত্রী জনাব নাজিম উদ্দিন হাসিম।
প্রতিষ্ঠিত সাল:১৯৮৪ সালে।
আয়তন :
উপজেলাসমূহ:১৩৬৩.৭৬ বর্গ কিঃ মিঃ
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ
- শরিয়তপুর সদর উপজেলা
- ডামুড্যা উপজেলা
- নড়িয়া উপজেলা
- ভেদরগঞ্জ উপজেলা
- জাজিরা উপজেলা
- গোসাইরহাট উপজেলা
বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ
- সুরেশ্বর দরবার শরীফ – নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর;
- নড়িয়া বি এল পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
- পন্ডিতসার;
- রুদ্রকর মঠ – সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়ন;
- মগর;
- শিবলিঙ্গ – নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়ন;
- মহিষারের দীঘি – দক্ষিণ বিক্রমপুর;
- রাজনগর;
- কুরাশি;
- রাম সাধুর আশ্রম – নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়ন;
- মানসিংহের বাড়ী – নড়িয়া উপজেলায় ফতেজংগপুর;
- ধানুকার মনসা বাড়ি।
- সখিপুর আনন্দবাজার বেরিবাধ -সখিপুর,শরীয়তপুর
- আলুর বাজার ফেরিঘা, সখিপুর,শরীয়তপুর
আধুনিক স্থাপত্যঃ
- হাটুরিয়া জমিদার বাড়ি – গোসাইরহাট উপজেলা;
- বুড়ির হাট মসজিদ – ডামুড্যা উপজেলার বুড়ির হাট;
- বুড়ির হাট মুন্সী বাড়ী – ডামুড্যা উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়ন;
- লাকার্তা শিকদার বাড়ি – ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছয়গাঁও ইউনিয়ন;
ওয়েবসাইট:
- মডার্ন ফ্যান্টাসি কিংডম-নড়িয়ার কেদারপুর ইউনিয়নের কলুকাঠি নামক গ্রামে এটি আবস্তিত।এখানে রয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মাছের একুরিয়াম ।তাছারা এখানে চিড়িয়াখানা সহ শিশুদের বিনোদনের বিভিন্ন ব্যবস্থা রয়েছে।শরীয়তপুর জেলার একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত।
http://www.shariatpur.gov.bd/
১২. টাঙ্গাইল জেলাঃ
টাঙ্গাইলের নামকরণ বিষয়ে রয়েছে বহুজনশ্রুতি ও নানা মতামত। ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত রেনেল তাঁর মানচিত্রে এ সম্পূর্ণ অঞ্চলকেই আটিয়া বলে দেখিয়েছেন। ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দের আগে টাঙ্গাইল নামে কোনো স্বতন্ত্র স্থানের পরিচয় পাওয়া যায় না। টাঙ্গাইল নামটি পরিচিতি লাভ করে ১৫ নভেম্বর ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে মহকুমা সদর দপ্তর আটিয়া থেকে টাঙ্গাইলে স্থানান্তরের সময় থেকে। টাঙ্গাইলের ইতিহাস প্রণেতা খন্দকার আব্দুর রহিম সাহেবের মতে, ইংরেজ আমলে এদেশের লোকেরা উচু শব্দের পরিবর্তে ‘টান’ শব্দই ব্যবহার করতে অভ্যস্ত ছিল বেশি। এখনো টাঙ্গাইল অঞ্চলে ‘টান’ শব্দের প্রচলন আছে। এই টানের সাথে আইল শব্দটি যুক্ত হয়ে হয়েছিল টান আইল। আর সেই টান আইলটি রূপান্তরিত হয়েছে টাঙ্গাইলে। টাঙ্গাইলের নামকরণ নিয়ে আরো বিভিন্নজনে বিভিন্ন সময়ে নানা মত প্রকাশ করেছেন। কারো কারো মতে, বৃটিশ শাসনামলে মোগল প্রশাসন কেন্দ্র আটিয়াকে আশ্রয় করে যখন এই অঞ্চল জম-জমাট হয়ে উঠে। সে সময়ে ঘোড়ার গাড়িছিল যাতায়াতের একমাত্র বাহন, যাকে বর্তমান টাঙ্গাইলের স্থানীয় লোকেরা বলত ‘টাঙ্গা’। বর্তমান শতকের মাঝামাঝি পর্যন্তও এ অঞ্চলের টাঙ্গা গাড়ির চলাচল স্থল পথে সর্বত্র। আল শব্দটির কথা এ প্রসঙ্গে চলে আসে। বর্তমান টাঙ্গাইল অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানের নামের সাথে এই আল শব্দটির যোগ লক্ষ্য করা যায়। আল শব্দটির অর্থ সম্ভবত সীমা নির্দেশক যার স্থানীয় উচ্চারণ আইল। একটি স্থানকে যে সীমানা দিয়ে বাঁধা হয় তাকেই আইল বলা হয়। টাঙ্গাওয়ালাদের বাসস্থানের সীমানাকে ‘টাঙ্গা+আইল’ এভাবে যোগ করে হয়েছে ‘টাঙ্গাইল’ এমতটি অনেকে পোষণ করেন। আইল শব্দটি কৃষিজমির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই শব্দটি আঞ্চলিক ভাবে বহুল ব্যবহৃত শব্দ। টাঙ্গাইলের ভূ-প্রকৃতি অনুসারে স্বাভাবিক ভাবে এর ভূমি উঁচু এবং ঢালু। স্থানীয়ভাবে যার সমার্থক শব্দ হলো টান। তাই এই ভূমিরূপের কারণেই এ অঞ্চলকে হয়তো পূর্বে ‘টান আইল’ বলা হতো। যা পরিবর্তীত হয়ে টাঙ্গাইল হয়েছে। প্রতিষ্ঠিত সাল:
১৯৬৯ সালে।
আয়তন :
উপজেলাসমূহ:৩৪১৪.৩৫ বর্গ কিঃ মিঃ
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ
- টাঙ্গাইল সদর উপজেলা
- কালিহাতি উপজেলা
- ঘাটাইল উপজেলা
- বাসাইল উপজেলা
- গোপালপুর উপজেলা
- মির্জাপুর উপজেলা
- ভূঞাপুর উপজেলা
- নাগরপুর উপজেলা
- মধুপুর উপজেলা
- সখিপুর উপজেলা
- দেলদুয়ার উপজেলা
- ধনবাড়ী উপজেলা
বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ
- ঝড়কা,
- সাগরদীঘি,
- গুপ্তবৃন্ধাবন,
- পাকুটিয়া আশ্রম,
- মগড়া নাম মন্দির,
- ভারতেশ্বরী হোমস,
- মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ,
- পাকুল্লা মসজিদ,
- আরুহা-শালিনাপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ,
- নাগরপুর চৌধুরীবাড়ী,
- পুন্ডরীকাক্ষ হাসপাতাল,
- উপেন্দ্র সরোবর,
- গয়হাটার মঠ,
- যমুনা নদীর পাড়
- তেবাড়িয়া জামে মসজিদ,
- এলেঙ্গা রিসোর্ট,
- যমুনা রিসোর্ট,
- যমুনা ক্যান্টনমেন্ট,
- এলেঙ্গা জমিদার বাড়ী
- কাদিমহামজানি মসজিদ,
- ঐতিহ্যবাহী পোড়াবাড়ি,
- করটিয়া সা’দত কলেজ,
- করটিয়া জমিদার বাড়ি,
- কুমুদিনী সরকারি কলেজ,
- বিন্দুবাসিনী বিদ্যালয়,
- দোখলা ভিআইপ রেস্ট হাউস,
- পীরগাছা রাবারবাগান
- আথাইল শিমুল(খায়রুল ইসলামের বাড়ী)
- ইবরাহীম খাঁ সরকারি কলেজ
- গোবিন্দাসী গরুর হাট
- ভূঞাপুরের নীলকুঠি,
- শিয়ালকোল বন্দর,
- ধনবাড়ী মসজিদ ও ধনবাড়ী নবাব প্যালেস,
- নথখোলা স্মৃতিসৌধ,
- বাসুলিয়া,
- রায়বাড়ী,
- কোকিলা পাবর স্মৃতিসৌধ,
- মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ,
- ধলাপাড়া চৌধুরীবাড়ী,
- মহেরা জমিদার বাড়ি,
- রাধা কালাচাঁদ মন্দির
- পাকুটিয়া জমিদার বাড়ী
- বনগ্রাম গনকবর
- স্বপ্ন বিলাস (চিড়িয়াখানা)
- মোকনা জমিদার বাড়ী
- তিনশত বিঘা চর
- ভারতেশ্বরী হোমস
- বায়তুল নূর জামে মসজিদ
- দেলদুয়ার জমিদার বাড়ি
- নাগরপুর জমিদার বাড়ি
- এলাসিন ব্রিজ
- ডিসি লেক
- সোল পার্ক
- ২০১ গম্বুজ মসজিদ
- চারান বিল
- এলাসিন ব্রিজ
আধুনিক স্থাপত্যঃ
ওয়েবসাইট:
- যমুনা বহুমুখী সেতু
- বঙ্গবন্ধু সেতু
http://www.tangail.gov.bd/
১৩. কিশোরগঞ্জ জেলাঃ
কিশোরগঞ্জের ইতিহাস সুপ্রাচীন। এখানে প্রাচীনকাল থেকেই একটি সুগঠিত গোষ্ঠী আছে এবং এখনোও তা বিরাজ করছে। ষষ্ঠ শতকে বত্রিশ এর বাসিন্দা কৃষ্ণদাস প্রামাণিকের ছেলে নন্দকিশোর ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে একটি গঞ্জ প্রতিষ্ঠা করেন; এ গঞ্জ থেকেই কালক্রমে নন্দকিশোরের গঞ্জ বা ‘কিশোরগঞ্জ’-এর উৎপত্তি হয়। একাদশ ও দ্বাদশ শতকে পাল, বর্মণ ও সেন শাসকরা এ অঞ্চলে রাজত্ব করে। তাদের পর ছোট ছোট স্বাধীন গোত্র কোচ, হাজং, গারো এবং রাজবংশীরা এখানে বসবাস করে।
প্রতিষ্ঠিত সাল:১৯৮৪ সালে।
আয়তন :
উপজেলাসমূহ:২,৬৮৮ বর্গ কিঃ মিঃ
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ
- কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা
- অষ্টগ্রাম উপজেলা
- ইটনা উপজেলা
- করিমগঞ্জ উপজেলা
- কটিয়াদি উপজেলা
- কুলিয়ারচর উপজেলা
- তাড়াইল উপজেলা
- নিকলী উপজেলা
- পাকুন্দিয়া উপজেলা
- বাজিতপুর উপজেলা
- ভৈরব উপজেলা
- মিটামইন উপজেলা
- হোসেনপুর উপজেলা
বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ
- জঙ্গলবাড়ি দূর্গ, করিমগঞ্জ উপজেলার কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নের জঙ্গলবাড়ি গ্রাম।
- এগারসিন্দুর দূর্গ পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর গ্রাম ।
- শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান
- চন্দ্রাবতীর শিবমন্দির, মাইজখাপন ইউনিয়নের কাচারীপাড়া গ্রাম
- দিল্লীর আখড়া, মিঠামইন উপজেলায় অবস্থিত।
- মানব বাবুর বাড়ি, গোবিন্দপুর ইউনিয়নের গাঙ্গাটিয়া গ্রাম
- তালজাঙ্গা জমিদার বাড়ি
- হাওরে প্রচুর মাছ পাওয়া যায়
আধুনিক স্থাপত্যঃ
ওয়েবসাইট:
- পরে জানানো হবে
http://www.kishoreganj.gov.bd/ওয়েবসাইট ঢাকা বিভাগ : http://www.dhakadiv.gov.bd/ 👋