মহানবী হযরত মুহাম্মদকে (সা:) কটূক্তি করার মানেই হচ্ছে, উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিতর্ক ছড়ানো। সঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানো এবং সমাজের শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে ঝুঁকিতে ফেলে দেয়া।
ইউরোপিয়ান কোর্ট অব হিউম্যান রাইটস (ইসিএইচআর) এমন বক্তব্য দিয়ে বৃহস্পতিবার একটি রুল জারি করেছেন।
২০০৯ সালে ‘বেসিক ইনফরমেশন অন ইসলাম’ শীর্ষক দুটি সেমিনারে নবী মুহাম্মদ (সা.)- এর বিয়ে নিয়ে কটূক্তি করেছিলেন মিসেস ‘এস’ নামে অস্ট্রীয় এক নাগরিক।
বিষয়টি আদালতে গড়ালে অস্ট্রিয়ার নিম্ন আদালতের সাত বিচারক আদেশ দেন, মুহাম্মদ (সা:) এর কোনো অবমাননা করা যাবে না। সেই সিদ্ধান্তের সমর্থন জানিয়ে বৃহস্পতিবার এই রুল দিলেন ইসিএইচআর।
ভিয়েনা রিজিওনাল ক্রিমিনাল কোর্ট এক বিবৃতিতে জানায়, সেই সেমিনারে মুহাম্মদ (সা:)- এর পেডোফিলিক প্রবণতা ছিল বলে বক্তব্য দেয়া হয়। ধর্মীয় আদর্শকে অবমাননার অভিযোগে ২০১১ সালে ফেব্রুয়ারিতে ওই নারীকে অভিযুক্ত করা হয়।
অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে প্রায় সাড়ে ৫শ’ ডলার অর্থদণ্ড দেয়া হয়। ওই নারী এর বিরুদ্ধে আপিল করলেও সুপ্রিম কোর্ট তা বাতিল করে দেন।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অস্ট্রিয়ার আদালত সিদ্ধান্ত দেন, ইসলামের নবীকে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা এবং উদ্দেশ্যমূলক কোনো বক্তব্য দেয়া তার বিরুদ্ধে আক্রমণ হিসেবে গণ্য করা হবে। এতে ধর্মীয় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট হতে পারে। এ ধরনের কোনো অভিযোগ পেলে আদালত পদক্ষেপ নেবে বলেও জানানো হয়।
অস্ট্রিয়ার এ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ইসিএইচআর জানায়, অন্য ধর্মের অনুসারিদের অনুভূতি সুরক্ষিত রাখার জন্য এবং ধর্মীয় শান্তি সংরক্ষণের লক্ষ্যে এবং সতর্কতার সঙ্গে স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকারকে সমুচিত করতে এ রুল জারি করা হয়েছে।
খবর: আনাদুলু এজেন্সি।