বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসনিক পূণর্বিন্যাসসংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (National Implementation Committee for Administrative Reform:NICAR) ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ জানুয়ারি তারিখে রংপুরকে দেশের সপ্তম বিভাগ হিসেবে অনুমোদন দেয়। এর আগে ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ জুলাই তারিখে মন্ত্রীসভার বৈঠকে রংপুরকে বিভাগ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে একটি কমিটি তৈরি করা হয় এবং কমিটি ২১ জুলাই তারিখে প্রতিবেদন জমা দেয়।
১. দিনাজপুর জেলাঃ
জনশ্রুতি আছে জনৈক দিনাজ অথবা দিনারাজ দিনাজপুর রাজপরিবারের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর নামানুসারেই রাজবাড়ীতে অবস্থিত মৌজার নাম হয় দিনাজপুর। পরবর্তীতে ব্রিটিশ শাসকরা ঘোড়াঘাট সরকার বাতিল করে নতুন জেলা গঠন করে এবং রাজার সম্মানে জেলার নামকরণ করে দিনাজপুর।
প্রতিষ্ঠিত সাল:
১৭৮৬ সালে।
আয়তন :
৩৪৪৪.৩০ বর্গ কিঃ মিঃ
উপজেলাসমূহ:
- বিরামপুর উপজেলা
- বীরগঞ্জ উপজেলা
- বোচাগঞ্জ উপজেলা
- ফুলবাড়ী উপজেলা
- চিরিরবন্দর উপজেলা
- ঘোড়াঘাট উপজেলা
- হাকিমপুর উপজেলা
- কাহারোল উপজেলা
- খানসামা উপজেলা
- দিনাজপুর সদর উপজেলা
- নবাবগঞ্জ উপজেলা
- পার্বতীপুর উপজেলা
- বিরল উপজেলা
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ
- কান্তজীর মন্দির
- রামসাগর
- স্বপ্নপূরী
- দিনাজপুর রাজবাড়ি
- জিয়া হার্ট ফাউন্ডেসন
- পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশন
- ঈদগাহ মাঠ
- কয়লাখনি
- চিরিরবন্দরের রেলসেতু
বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ
- কান্তজীর মন্দির
- রামসাগর
- দিনাজপুর রাজবাড়ি
- চিরিরবন্দরের রেলসেতু
আধুনিক স্থাপত্যঃ
- পরে জানানো হবে
ওয়েবসাইট:
http://www.dinajpur.gov.bd/
২. গাইবান্ধা জেলাঃ
গাইবান্ধা নামকরণ সম্পর্কে কিংবদন্তী প্রচলিত আছ, প্রায় পাচ হাজার বছর আগে মৎস্য দেশের রাজা বিরাটের রাজধানী ছিল গাইবান্ধার গোবিন্দগজ থানা এলাকায়। বিরাট রাজার গো-ধনের কোন তুলনা ছিল না। তার গাভীর সংখ্যা ছিল ষাট হাজার। মাঝে মাঝে ডাকাতরা এসে বিরাট রাজার গাভী লুণ্ঠন করে নিয়ে যেতো। সে জন্য বিরাট রাজা একটি বিশাল পতিত প্রান্তরে গো-শালা স্থাপন করেন। গো-শালাটি সুরক্ষিত এবং গাভীর খাদ্য ও পানির সংস্থান নিশ্চিত করতে। নদী তীরবর্তী ঘেসো জমিতে স্থাপন করা হয়। সেই নির্দিষ্ট স্থানে গাভীগুলোকে বেঁধে রাখা হতো। প্রচলিত কিংবদন্তী অনুসারে এই গাভী বেঁধে রাখার স্থান থেকে এতদঞ্চলের কথ্য ভাষা অনুসারে এলাকার নাম হয়েছে গাইবাঁধা এবং কালক্রমে তা গাইবান্ধা নামে পরিচিতি লাভ করে।
প্রতিষ্ঠিত সাল:
১৯৮৪ সালে।
আয়তন :
২১৭৯.২৭ বর্গ কিঃ মিঃ
উপজেলাসমূহ:
- গাইবান্ধা সদর উপজেলা
- ফুলছড়ি উপজেলা
- গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা
- পলাশবাড়ী উপজেলা
- সাদুল্লাপুর উপজেলা
- সাঘাটা উপজেলা
- সুন্দরগঞ্জ উপজেলা
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ
- বালাসী ঘাট
- সাদুল্লাপুরের নলডাঙ্গার জমিদার বাড়ি
- ফ্রেন্ডশিপ সেন্টার
- ঘেগার বাজার মাজার
- গাইবান্ধা পৌর পার্ক
- ড্রীমল্যান্ড, পলাশবাড়ী সদর
- হযরত শাহ জামাল (রাঃ) মাজার শরীফ, জামালপুর, সাদুল্লাপুর, গাইবান্ধা.
- জামালপুর শাহী মসজিদ, জামালপুর, সাদুল্লাপুর, গাইবান্ধা.
- রাজবাড়ি (বিরাট রাজার প্রাসাদ)
- পাকড়িয়া বিল
বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ
- রাজবাড়ি
- পাকড়িয়া বিল
- গাইবান্ধা পৌর পার্ক
- ফ্রেন্ডশিপ সেন্টার
- পাকড়িয়া বিল
আধুনিক স্থাপত্যঃ
- ফ্রেন্ডশিপ সেন্টার
ওয়েবসাইট:
http://www.gaibandha.gov.bd/
৩. কুড়িগ্রাম জেলাঃ
কুড়িগ্রাম জনপদ বেশ প্রাচীন। কুড়িগ্রাম-এর নাম করণের সঠিক ইতিহাস জানা যায়নি। অনেকে মনে করেন গণনা সংখ্যা কুড়ি থেকে কুড়িগ্রাম হয়েছে। কারো মতে কুড়িটি কলু পরিবার এর আদি বাসিন্দা ছিল। তাই এর নাম কুড়িগ্রাম। কেউ বা মনে করেন, রংগপুর রাজার অবকাশ যাপনের স্থান ছিল কুড়িগ্রাম। প্রচুর বন-জঙ্গল ও ফল মূলে পরিপূর্ণ ছিল এই এলাকা, তাই ফুলের কুড়ি থেকে এর নাম হয়েছে কুড়িগ্রাম।
১৮০৯ সালে ডাঃ বুকালন হ্যামিলটন তাঁর বিবরণীতে বলেছেন-Kuriganj of which the market place is called Balabari in a place of considerable trade (martins Eastern India)। মিঃ ভাস তাঁর রংপুরের বিবরণীতেও এ অঞ্চলকে কুড়িগঞ্জ বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু কুড়িগঞ্জ নামের উৎপত্তি সম্বন্ধে কেউ কিছুই বলেননি। ১৯৮৪ সালের ২৩ শে জানুয়ারী ‘‘কুড়িগ্রাম’’ মহকুমা থেকে জেলায় উন্নীত হয়।
প্রতিষ্ঠিত সাল:
১৯৮৪ সালে।
আয়তন :
২২৪৫.০৪ বর্গ কিঃ মিঃ
উপজেলাসমূহ:
- উলিপুর উপজেলা
- কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা
- চর রাজিবপুর উপজেলা
- চিলমারী উপজেলা
- নাগেশ্বরী উপজেলা
- ফুলবাড়ী উপজেলা
- ভুরুঙ্গামারী উপজেলা
- রাজারহাট উপজেলা
- রৌমারী উপজেলা
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ
- কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
- ধরলা ব্রিজ
- ধরলা বাঁধ
- শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলক
- স্বাধীনতার বিজয় স্তম্ভ
- চান্দামারী মসজিদ
- কোটেশ্বর শিব মন্দির
- পাঙ্গা জমিদার বাড়ি
- ঘড়িয়ালডাঙ্গা জমিদার বাড়ী
- টুপামারী (জিয়া পুকুর)
- মুন্সিবাড়ী
- ধাম শ্রেণী মন্দির
- জালার পীরের দরগাহ
- উদুনা-পুদুনার বিল
- বেহুলার চর
- ভিতরবন্দ জমিদার বাড়ী
- সোনাহাট ব্রিজ
- ফুল সাগর
- নাওডাঙ্গা জমিদার বাড়ি
- চতুর্ভূজ সেনপাড়া শিব মন্দির
- ধলডাঙ্গা বাজার
- কালজানি ঘাট
- চিলমারী বন্দর
- জয়মনিরহাট জমিদারবাড়ি
- মাধাইখাল কালী মন্দির
- সোনাহাট স্থলবন্দর *চরভুরুঙ্গামারী ইউনিয়ন পরিষোধ *বহলকুড়ি ভারত ও বাংলাদেশ ১০০১ নাম্বার রাষ্টিয় সিমানা চুক্তি পিলার
বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ
- ধরলা ব্রিজ
- ধরলা বাঁধ
- শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলক
- স্বাধীনতার বিজয় স্তম্ভ
- কোটেশ্বর শিব মন্দির
- পাঙ্গা জমিদার বাড়ি
- ঘড়িয়ালডাঙ্গা জমিদার বাড়ী
- উদুনা-পুদুনার বিল
- বেহুলার চর
- ভিতরবন্দ জমিদার বাড়ী
- সোনাহাট ব্রিজ
- ফুল সাগর
- নাওডাঙ্গা জমিদার বাড়ি
- চতুর্ভূজ সেনপাড়া শিব মন্দির
- কালজানি ঘাট
- চিলমারী বন্দর
- জয়মনিরহাট জমিদারবাড়ি
- মাধাইখাল কালী মন্দির
- সোনাহাট স্থলবন্দর
আধুনিক স্থাপত্যঃ
- পরে জানানো হবে
ওয়েবসাইট:
http://www.kurigram.gov.bd/
৪. লালমনিরহাট জেলাঃ
লালমনিরহাট নামকরণ নিয়ে জনশ্রুতি আছে যে, বৃটিশ সরকারের আমলে বর্তমান লালমনিরহাট শহরের মধ্যে দিয়ে রেলপথ বসানোর সময় উল্লিখিত অঞ্চলের রেল শ্রমিকরা বন-জঙ্গল কাটতে গিয়ে জনৈক ব্যক্তি ’লালমনি’ পেয়েছিলেন। সেই লালমনি থেকেই পর্যায়ক্রমে লালমনিরহাট নামের উৎপত্তি হয়েছে। অন্য এক সূত্র থেকে জানা যায়, বিপ্লবী কৃষক নেতা নুরুলদীনের ঘনিষ্ঠ সাথী লালমনি নামে এক ধনাঢ্য মহিলা ছিলেন। যার নামানুসারে লালমনিরহাট নামকরণ করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠিত সাল:
১৯৮৪ সালে।
আয়তন :
১২৪০.৯৩ বর্গ কিঃ মিঃ
উপজেলাসমূহ:
- আদিতমারী উপজেলা
- কালীগঞ্জ উপজেলা
- পাটগ্রাম উপজেলা
- লালমনিরহাট সদর উপজেলা
- হাতীবান্ধা উপজেলা
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ
- তিস্তা সেচ প্রকল্প
- প্রাচীন লালমনিরহাট বিমান বন্দর
- বুড়িমাড়ি জিরো পয়েন্ট
- তিনবিঘা করিডর
- শীণ্ডূড়মটীর দীঘি
- কবি শেখ ফজলুল করিমের বসত ভিটা
- তিস্তা ব্যারেজ
- কাকিনা জমিদার বাড়ি
- বোতল বাড়ি (কালীগঞ্জ- নওদাবাস)
- তুষভাণ্ডার জমিদার বাড়ি
- ঐতিহ্যবাহী সিন্দুরমতি পুকুর
বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ
- প্রাচীন লালমনিরহাট বিমান বন্দর
- বুড়িমাড়ি জিরো পয়েন্ট
- কবি শেখ ফজলুল করিমের বসত ভিটা
- তিস্তা ব্যারেজ
- কাকিনা জমিদার বাড়ি
- তুষভাণ্ডার জমিদার বাড়ি
- ঐতিহ্যবাহী সিন্দুরমতি পুকুর
আধুনিক স্থাপত্যঃ
- পরে জানানো হবে
ওয়েবসাইট:
http://www.lalmonirhat.gov.bd/
৫. নীলফামারী জেলাঃ
প্রায় দুই শতাধিক বছর পূর্বে এ অঞ্চলে নীল চাষের খামার স্থাপন করে ইংরেজ নীলকরেরা। এ অঞ্চলের উর্বর ভূমি নীল চাষের অনুকূল হওয়ায় দেশের অন্যান্য এলাকার তুলনায় নীলফামারীতে বেশি সংখ্যায় নীলকুঠি ও নীল খামার গড়ে ওঠে। ঊণবিংশ শতাব্দীর শুরুতেই দুরাকুটি, ডিমলা, কিশোরগঞ্জ, টেঙ্গনমারী প্রভৃতি স্থানে নীলকুঠি স্থাপিত হয়। সে সময় বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের মধ্যে নীলফামারীতেই বেশি পরিমাণে শস্য উৎপাদিত মাটির ঊর্বরতার কারণে। সে কারণেই নীলকরদের ব্যাপক আগমন ঘটে এতদঅঞ্চলে। গড়ে ওঠে অসংখ্য নীল খামার। বর্তমান নীলফামারী শহরের তিন কিলোমিটার উত্তরে পুরাতন রেল স্টেশনের কাছেই ছিল একটি বড় নীলকুঠি। তাছাড়া বর্তমানে অফিসার্স ক্লাব হিসেবে ব্যবহৃত পুরাতন বাড়িটি ছিল একটি নীলকুঠি। ধারণা করা হয়, স্থানীয় কৃষকদের মুখে ‘নীল খামার’ রূপান্তরিত হয় ‘নীল খামারী’তে। আর এই নীলখামারীর অপভ্রংশ হিসেবে উদ্ভব হয় নীলফামারী নামের।
প্রতিষ্ঠিত সাল:
১৯৮৪ সালে।
আয়তন :
১৬৪৩.৪ বর্গ কিঃ মিঃ
উপজেলাসমূহ:
- নিলফামারী সদর উপজেলা
- ডোমার উপজেলা
- ডিমলা উপজেলা
- জলঢাকা উপজেলা
- কিশোরগঞ্জ উপজেলা
- সৈয়দপুর উপজেলা
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ
- নীলসাগর
- ধর্মপালের গড়
- চীনা মসজিদ
- তিস্তা ব্যারেজ ও সেচ প্রকল্প
- কুন্দুপুকুর মাজার
- হযরত শাহ কলন্দর মাজার
- হরিশচন্দ্রের পাঠ
- ময়নামতির দূর্গ
- ভীমের মায়ের চুলা
- সৈয়দপুর চার্চ
- সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা
- দারোয়ানী টেক্সটাইল মিল
- উত্তরা ইপিজেড
- সৈয়দপুর বিমানবন্দর
- ডিমলা রাজবাড়ী
- বালাপাড়া গণকবর
বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ
- তিস্তা ব্যারেজ ও সেচ প্রকল্প
- কুন্দুপুকুর মাজার
- হযরত শাহ কলন্দর মাজার
- হরিশচন্দ্রের পাঠ
- ময়নামতির দূর্গ
- সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা
- দারোয়ানী টেক্সটাইল মিল
- উত্তরা ইপিজেড
- সৈয়দপুর বিমানবন্দর
- ডিমলা রাজবাড়ী
- বালাপাড়া গণকবর
আধুনিক স্থাপত্যঃ
- সৈয়দপুর বিমানবন্দর
- দারোয়ানী টেক্সটাইল মিল
ওয়েবসাইট:
http://www.nilphamari.gov.bd/
৬. পঞ্চগড় জেলাঃ
“পঞ্চ” (পাঁচ) গড়ের সমাহার “পঞ্চগড়” নামটির অপভ্রমংশ “পঁচাগড়” দীর্ঘকাল এই জনপদে প্রচলিত ছিল। কিন্তু গোড়াতে এই অঞ্চলের নাম যে, ‘পঞ্চগড়ই’ ছিলো সে ব্যাপারে সন্দেহর কোন অবকাশ নেই। বস্তুত ভারতীয় উপমহাদেশে “পঞ্চ” শব্দটি বিভিন্ন স্থান নামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। যেমন- পঞ্চনদ, পঞ্চবটী, পঞ্চনগরী, পঞ্চগৌড় ইত্যাদি। “পঞ্চনগরীর” দূরত্ব পঞ্চগড় অঞ্চল থেকে বেশি দূরে নয়। পঞ্চগড় জেলায় বেশ কিছু গড় রয়েছে তাদের মাঝে উল্লেখ করার মত গড় হল ভিতরগড়, মিরগড়, রাজনগড়, হোসেনগড়, দেবনগড়। ‘পঞ্চ’ অর্থ পাঁচ, আর ‘গড়’ অর্থ বন বা জঙ্গল। ‘পঞ্চগড়’ নামটি এভাবেই এসেছে।
প্রতিষ্ঠিত সাল:
১৯৮০ সালে।
আয়তন :
১৪০৪.৬২ বর্গ কিঃ মিঃ
উপজেলাসমূহ:
- দেবীগঞ্জ উপজেলা
- তেতুলিয়া উপজেলা
- পঞ্চগড় সদর উপজেলা
- আটোয়ারী উপজেলা
- বোদা উপজেলা
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ
- ভিতরগড়
- মহারাজার দিঘী
- বদেশ্বরী মহাপীঠ মন্দির
- সমতল ভূমিতে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠিত চা বাগান
- মির্জাপুর শাহী মসজিদ
- বার আউলিয়ার মাজার
- গোলকধাম মন্দির
- তেঁতুলিয়া ডাক-বাংলো
- তেঁতুলিয়া পিকনিক কর্ণার
- বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট ও বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর
- রকস্ মিউজিয়াম
- মহারাণী বাঁধ
বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ
- ডি.সি পার্ক
- হিমালয় পার্ক
- জেলা শীল্পকলা একাডেমি
- জেলা শিশু একাডেমি
- নজরুল পাঠাগার
- বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেডিয়াম
- সীমান্ত ক্যান্টিন
- ট্র্যাফিক পুলিশ ক্যান্টিন
আধুনিক স্থাপত্যঃ
- বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেডিয়াম
ওয়েবসাইট:
http://www.panchagarh.gov.bd/
৭. রংপুর জেলাঃ
রংপুর নামকরণের ক্ষেত্রে লোকমুখে প্রচলিত আছে যে পূর্বের ‘রঙ্গপুর’ থেকেই কালক্রমে এই নামটি এসেছে। ইতিহাস থেকে জানা যায় যে উপমহাদেশে ইংরেজরা নীলের চাষ শুরু করে। এই অঞ্চলে মাটি উর্বর হবার কারণে এখানে প্রচুর নীলের চাষ হত। সেই নীলকে স্থানীয় লোকজন রঙ্গ নামেই জানত। কালের বিবর্তনে সেই রঙ্গ থেকে রঙ্গপুর এবং তা থেকেই আজকের রংপুর। অপর একটি প্রচলিত ধারনা থেকে জানা যায় যে রংপুর জেলার পূর্বনাম রঙ্গপুর। প্রাগ জ্যোতিস্বর নরের পুত্র ভগদত্তের রঙ্গমহল এর নামকরন থেকে এই রঙ্গপুর নামটি আসে। রংপুর জেলার অপর নাম জঙ্গপুর । ম্যালেরিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব থাকায় কেউ কেউ এই জেলাকে যমপুর বলেও ডাকত। তবে রংপুর জেলা সুদুর অতীত থেকে আন্দোলন প্রতিরোধের মূল ঘাঁটি ছিল। তাই জঙ্গপুর নামকেই রংপুরের আদি নাম হিসেবে ধরা হয়। জঙ্গ অর্থ যুদ্ধ, পুর অর্থ নগর বা শহর। গ্রাম থেকে আগত মানুষ প্রায়ই ইংরেজদের অত্যাচারে নিহত হত বা ম্যালেরিয়ায় মারা যেত। তাই সাধারণ মানুষ শহরে আসতে ভয় পেত। সুদুর অতীতে রংপুর জেলা যে রণভূমি ছিল তা সন্দেহাতীত ভাবেই বলা যায়। ত্রিশের দশকের শেষ ভাগে এ জেলায় কৃষক আন্দোলন যে ভাবে বিকাশ লাভ করে ছিল তার কারণে রংপুরকে লাল রংপুর হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল।
প্রতিষ্ঠিত সাল:
১৮৭৭ সালে।
আয়তন :
২৪০০.৫৬ বর্গ কিঃ মিঃ
উপজেলাসমূহ:
- রংপুর সদর উপজেলা
- বদরগঞ্জ উপজেলা
- গংগাচড়া উপজেলা
- কাউনিয়া উপজেলা
- মিঠাপুকুর উপজেলা
- পীরগাছা উপজেলা
- পীরগঞ্জ উপজেলা
- তারাগঞ্জ উপজেলা
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ
- কারমাইকেল কলেজ
- তাজহাট রাজবাড়ী
- ভিন্নজগত
- রংপুর চিড়িয়াখানা
- পায়রাবন্দ
- ঘাঘট প্রয়াস পার্ক
- চিকলির পার্ক
- মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য
বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ
- তাজহাট রাজবাড়ী
- রংপুর চিড়িয়াখানা
- ঘাঘট প্রয়াস পার্ক
- চিকলির পার্ক
আধুনিক স্থাপত্যঃ
- মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য
ওয়েবসাইট:
http://www.rangpur.gov.bd/
৮. ঠাকুরগাঁও জেলাঃ
ঠাকুরগাঁও এর আদি নাম ছিল নিশ্চিন্তপুর। ঠাকুরগাঁওয়ের নামকরণের ইতিহাস সম্পর্কে আর যা পাওয়া গেছে তাহলো, বর্তমানে যেটি জেলা সদর অর্থাৎ যেখানে জেলার অফিস-আদালত অবস্থিত সেখান থেকে ৮ কিলোমিটার উত্তরে আকচা ইউনিয়নের একটি মৌজায় নারায়ণ চক্রবর্তী ও সতীশ চক্রবর্তী নামে দুই ভাই বসবাস করতেন। সম্পদ ও প্রভাব প্রতিপত্তির কারণে তারা সেই এলাকায় খুব পরিচিত ছিলেন। সেখানকার লোকজন সেই চক্রবর্তী বাড়িকে ঠাকুরবাড়ি বলতেন। পরে স্থানীয় লোকজন এই জায়গাকে ঠাকুরবাড়ি থেকে ঠাকুরগাঁও বলতে শুরু করে। ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১লা ফেব্রুয়ারী ৫টি থানা নিয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
প্রতিষ্ঠিত সাল:
১৯৮৪ সালে।
আয়তন :
১৮০৯.৫২ বর্গ কিঃ মিঃ
উপজেলাসমূহ:
- ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা
- পীরগঞ্জ উপজেলা
- বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা
- রানীশংকৈল উপজেলা
- হরিপুর উপজেলা
ঐতিহাসিক স্থানসমূহঃ
- জামালপুর জমিদারবাড়ি জামে মসজিদ – শিবগঞ্জহাট;
- বালিয়াডাঙ্গী সূর্য্যপূরী আমগাছ – প্রায় ২০০ বছরের পুরনো, হরিণ মারি গ্রামে, বালিয়াডাঙ্গী
- ফান সিটি অ্যামিউজমেন্ট পার্ক – পীরগঞ্জ;
- রাজভিটা – হাটপাড়া, জাবরহাট ইউনিয়ন, পীরগঞ্জ উপজেলা;
- রাজা টংকনাথের রাজবাড়ি – রানীশংকৈল উপজেলা;
- হরিপুর রাজবাড়ি – হরিপুর উপজেলা;
- জগদল রাজবাড়ি – রানীশংকৈল উপজেলা;
- প্রাচীন রাজধানীর চিহ্ন – নেকমরদ, রানীশংকৈল উপজেলা;
- নেকমরদ মাজার – রানীশংকৈল উপজেলা;
- মহেশপুর মহালবাড়ি ও বিশবাঁশ মাজার ও মসজিদস্থল – রানীশংকৈল উপজেলা;
- শালবাড়ি ইমামবাড়া – ভাউলারহাট, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা;
- সনগাঁ মসজিদ – বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা;
- ফতেহপুর মসজিদ – বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা;
- মেদিনী সাগর মসজিদ – হরিপুর উপজেলা;
- গেদুড়া মসজিদ – হরিপুর উপজেলা;
- গোরক্ষনাথ মন্দির এবং কূপ – রানীশংকৈল উপজেলা;
- হরিণমারী শিব মন্দির – বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা;
- গোবিন্দনগর মন্দির – ঠাকুরগাঁও শহর;
- ঢোলরহাট মন্দির – ঠাকুরগাঁও শহর;
- ভেমটিয়া শিবমন্দির – পীরগঞ্জ পৌরসভা;
- মালদুয়ার দুর্গ – রানীশংকৈল উপজেলা;
- গড়গ্রাম দুর্গ – রানীশংকৈল উপজেলার;
- বাংলা গড় – রানীশংকৈল উপজেলা;
- গড় ভবানীপুর – হরিপুর উপজেলা;
- গড়খাঁড়ি – বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা;
- কোরমখান গড় – ঠাকুরগাঁও শহর;
- সাপটি বুরুজ – ঠাকুরগাঁও উপজেলা;
- দিঘি সমূহ – পুরো জেলা জুড়ে (গড়েয়াহাট দিঘি, লস্করা দিঘি, টুপুলী দিঘি, শাসলা ও পেয়ালা দিঘি, ঠাকুর দিঘি, আঠারো গান্ডি পোখর, আধার দিঘি, হরিণমারী দিঘি, রতন দিঘি, দুওসুও দিঘি, রামরাই দিঘি, খুনিয়া দিঘি, রানীসাগর, মেদিনীসাগর দিঘি)
বিনোদন ও প্রাকৃতিক স্থানঃ
- হরিপুর রাজবাড়ি
- ফান সিটি অ্যামিউজমেন্ট পার্ক
- ঢোলরহাট মন্দির
- ভেমটিয়া শিবমন্দির
- রাজা টংকনাথের রাজবাড়ি
আধুনিক স্থাপত্যঃ
- পরে জানানো হবে
ওয়েবসাইট:
http://www.thakurgaon.gov.bd/
WEBSITE: